ইউটিউবে যে পাঁচ ধরনের ভিডিও দিলেই ব্যবস্থা নেবে – If you put five types of videos on YouTube, you will take action

Deal Score0
Deal Score0

 কারও ক্ষতি হয় বা ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা ভিডিও ইউটিউবে নিষিদ্ধ । 

মোটাদাগে বললে, কারও ক্ষতি হয় বা ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা ভিডিও ইউটিউবে দেওয়া যাবে না। দিলে ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করা থেকে শুরু করে ভিডিও সরিয়ে নেওয়া, এমনকি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করতে পারে ইউটিউব। তা ছাড়া কপিরাইট নিয়ে ভিডিও শেয়ার করার প্ল্যাটফর্মটির নীতিমালা আছে, শিশুবিষয়ক নীতিমালা আছে, ক্ষতিকর কনটেন্ট নিয়ে বিস্তর বলা আছে ইউটিউবের ভিডিও নির্মাণবিষয়ক নির্দেশনায়। সেসব কারণেও ভিডিও নির্মাতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে ইউটিউব। সম্প্রতি আলোচনায় আসা ইউটিউবের পাঁচ নীতিমালার কথা থাকছে এখানে।


ভ্যাকসিন সম্পর্কে ভুল তথ্য দিলে

যেকোনো অনুমোদিত ভ্যাকসিন সম্পর্কে ভুল তথ্য দিলেই ভিডিও মুছে ফেলবে ইউটিউব। যেমন ভিডিওতে যদি কোনো অনুমোদিত ভ্যাকসিন সম্পর্কে বলা হয়, সেটি বিপজ্জনক কিংবা অটিজম, ক্যানসার বা বন্ধ্যত্বের কারণ, তবে সে ভিডিও সরিয়ে ফেলা হবে। ২০২০ সাল থেকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৩০ হাজার এমন ভিডিও সরিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউটিউবের মূল প্রতিষ্ঠান গুগল।



জলবায়ু পরিবর্তন অস্বীকার করলে

জলবায়ু পরিবর্তন অস্বীকার করে ভিডিও দিলে এখন থেকে সেসব ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখাতে দেবে না ইউটিউব। অনলাইনে প্রকাশিত নথিতে ইউটিউব জানিয়েছে, ‘গুগলে বিজ্ঞাপনদাতা, প্রকাশক এবং ভিডিও নির্মাতাদের জন্য মানিটাইজেশনবিষয়ক নতুন নীতিমালা চালু করেছে ইউটিউব। এই নীতিমালার আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনের অস্তিত্ব এবং কারণ নিয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অস্বীকার করে তৈরি করা ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে না।’ এমন ভিডিও শনাক্তে স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম ব্যবহারের পাশাপাশি আলাদা করে পর্যালোচনা করা হবে।



নির্বাচন নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ালে

ভোটারদের নির্বাচনসংক্রান্ত কোনো ভুল তথ্য দেওয়া যাবে না ইউটিউবে। মিথ্যা দাবি, যেমন নির্বাচিত হওয়ার আগেই কাউকে নির্বাচিত ঘোষণা দিয়ে ভিডিও বানানোও যাবে না। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সাংঘর্ষিক গোপন তথ্য প্রকাশ করা যাবে না আবার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার আহ্বানও জানানো যাবে না। বিশেষ করে ২০১৬ মার্কিন নির্বাচনের পর থেকে মার্কিন টেক জায়ান্টরা এ ব্যাপারে বেশি সচেতন থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছে।



হয়রানি এবং সাইবার বুলিংয়ের উদ্দেশ্যে তৈরি ভিডিও

হয়রানি, হুমকি কিংবা অন্যকে বুলিং করার উদ্দেশ্যে তৈরি ভিডিও ইউটিউবে নিষিদ্ধ। একইভাবে সম্মতি না নিয়ে ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে বা বিদ্বেষপরায়ণ হয়ে কারও ভিডিও ধারণ করা কিংবা ভিডিওতে কারও ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে দেওয়াও নিষিদ্ধ। ইউটিউবের নীতিমালা অনুযায়ী, ভিডিওতে কম বয়সীদের (সচরাচর ১৮ বছরের নিচে) অহেতুক লজ্জা দেওয়া যাবে না, ছোট করা যাবে না, অপমান কিংবা তাদের সঙ্গে প্রতারণাও করা যাবে না। আবার অন্য একটি ভিডিওতে বিদ্বেষমূলক কমেন্ট করার জন্য কাউকে বলাও যাবে না।


করোনা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ালে

কোভিড-১৯ নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা দাতা সংস্থা কিংবা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিকিৎসাসংক্রান্ত তথ্যের সঙ্গে অসংগতিমূলক তথ্য ইউটিউবে প্রচার নিষিদ্ধ। বিশেষ করে করোনার চিকিৎসা, প্রতিরোধ, রোগনির্ণয়, সংক্রমণ, সামাজিক দূরত্ব এবং সঙ্গনিরোধবিষয়ক নির্দেশনা অমান্য করা যাবে না। করোনা আদৌ আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই ইউটিউব ভিডিওতে। কোভিড-১৯ নিয়ে ২০২০ সালের ২০ মে নীতিমালা প্রণয়ন করে ইউটিউব। তবে জানিয়েছে, ভাইরাসটি নিয়ে স্থানীয় বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী যেকোনো সময় তা পরিবর্তন করা হতে পারে।


cobangla
We will be happy to hear your thoughts

Leave a reply

Tech Topic Cobangla
Logo
Register New Account