কন্টেন্টে প্যারাগ্রাফ এবং পয়েন্ট ব্যবহার করবো কিভাবে ?

Deal Score0
Deal Score0

 

কন্টেন্টে প্যারাগ্রাফ এবং পয়েন্ট ব্যবহার করবো কিভাবে ?


একটি ওয়েবসাইটের প্রাণ হলো ভিজিটর। ভিজিটর না থাকলে সেই ওয়েবসাইটকে ঘরে পড়ে থাকা ব্যক্তিগত ডায়রির সাথেই তুলনা করা যায়। ওয়েবসাইটে বিভিন্ন উপায়ে মার্কেটিং করে ভিজিটর বাড়ানো যায়। কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটে যদি তথ্যপূর্ণ ভালো মানের কন্টেন্ট থাকে তাহলে গুগল, বিং ইত্যাদি সার্চ ইঞ্জিন থেকে এমনিতেই অর্গানিক ভিজিটর পাওয়া যায়। 

সে হিসেবে কন্টেন্ট হলো একটি ওয়েবসাইটের বড় সম্পদ। কিন্তু কন্টেন্ট যেন আগডুম বাগডুম যা খুশি তাই লিখলেই চলবে না। কন্টেন্ট লেখার কিছু নিয়ম এবং কলা কৌশল আছে। বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানা থাকলে আপনি সহজেই আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর পেতে পারেন তাই আজ আমি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আর্টিকেল লেখার সময় বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। আপনি যদি ভালো মানের একজন কন্টেন্ট রাইটার হতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। 

টপিক সূচি 

কন্টেন্ট কি ?

আমরা ইন্টারনেটে যেকোনো ওয়েবসাইট ভিজিট লেখা, ছবি, ভিডিও, অডিও ইত্যাদি পড়ি, দেখি এবং শুনি এগুলোই হলো কন্টেন্ট। যেকোন লেখাকে বলা হয় টেক্সট কন্টেন্ট, আর যেসব ভিডিও দেখি সেগুলো হলো ভিডিও কন্টেন্ট এবং যেগুলো অডিও শুনে থাকি তা হলো অডিও কন্টেন্ট।


বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম

একটি ভাল মানে র আর্টিকেল লেখার জন্য বেশ কিছু বিষয় মাথায় রেখে তারপর আর্টিকেল লিখতে হয়। আপনি চাইলেই এখনি একটা আর্টিকেল হয়তো লিখতে ফেলতে পারবেন না। 

কিন্তু আপনি যদি সত্যি সত্যি লিখতে চান তবে আপনি লিখতে পারবেন। তবে সেটার জন্য দরকার চেষ্টা করা, লেখার কলাকৌশলগুলো আয়ত্ব করা। আপনি প্রাক্টিস করার মাধ্যমে আর্টিকেল লেখার কলা কোশল শিখে ভাল মানের একজন আর্টিকেল রাইটার হতে পারেন।

যদিও ব্যক্তি ভেদে একেকজনের লেখার কৌশল এবং স্টাইল একেক রকম। তবুও ব্যসিক বিষয়গুলো একই। আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিংএ একেবারে নতুনও হয়ে থাকেন তাহলে নিচের স্টেপগুলো ফলো করার মাধ্যমে একজন ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটার হতে পারবেন বলে আশা রাখি।


আর্টিকেল এর বিষয় নির্বাচন

একটি আকর্ষণীয় ব্লগ পোস্ট লিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই লেখার বিষয় নির্বাচন করতে হবে। বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রথম প্রথম আপনার ভালোলাগাকে প্রাধান্য দিন। 

মানে হলো আপনার কি ভাল লাগে? আপনি কি বিষয়ে ভাল জানেন? আপনার কি নিয়ে ভাবতে ভাল লাগে? আপনার কোন কোন বিষয় নিয়ে রিসার্চ করতে এবং ঘাটঘাটি করতে ভাল লাগে? এমনই একটি ভালো লাগা এবং জানা বিষয়ে লিখুন। তাহলে আপনার লেখাটি দ্রুত এবং সুন্দর হবে। 

যদিও আপনি যেকোন বিষয়েই লিখতে পারেন তবে আপনি জানেন না এমন বিষয়ে প্রথমেই লিখতে গেলে আপনার রিসার্চ করতে করতে অনেক সময় কেটে যাবে যার কারণে আপনার ভেতরে বোরিং ভাব চলে আসবে এবং একসময় হয়তো লেখলেখির ইচ্ছা বাদ দিবেন। তাই জানা শোনা বিষয়ে লেখার চেষ্টা করুন।

আর জানেন না এমন বিষয়েও আপনি লিখতে পারবেন। তবে সে জন্য আপনাকে আগে ঐ বিষয়ে প্রচুর ঘাটঘাটি করতে হবে, রিসার্চ করতে হবে তারপর লিখতে হবে। বিষয় নির্বাচন কি, আশা করছি বুঝতে পারছেন।


[★★]  মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় জানতে এখানে ক্লিক করুন 

 

হেডিং ট্যাগ এর ব্যবহার

আপনি আর্টিকেল লেখার সময় যথাযথ ভাবে হেডিং ট্যাগের ব্যবহার বুঝতে হবে। একটি ভালো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে হেডিং ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 HTML – এ ৬ ধরণের হেডিং ট্যাগ আছে – h1, h2, h3, h4, h5, h6। পেজ টাইটেল বা শুরুতে h1 ব্যবহার করা হয় এরপর h2, h3, h4 ইত্যাদি এগুলো ক্ষেত্র বিশেষে যখন যেটা প্রয়োজন ব্যবহার করা হয়। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেসের ক্লাসিক এডিটরে লিখে থাকেন তাহলে নিচের চিত্রের মত

এখান থেকে হেডিংগুলোকে কন্ট্রোল করতে পারবেন। আপনি আর্টকেল লেখার সময় অবশ্যই হেডিং ব্যবহার করবেন।

হেডিং ট্যাগ এর ব্যবহার


প্যারাগ্রাফ আকারে লেখা

আর্টিকেল লেখার সময়ে আপনাকে অবশ্যই ছোট ছোট প্যারা আকারে লিখতে হবে। এতে করে রিডাররা পড়ে আরম বোধ করবে। বেশি বড় প্যারা করে লিখলে রিডাররা পড়তে বিরক্তি বোধ করে এজন্য অনেক সময় পাঠক পুরোটা না পড়েই আর্টিকেলটি এড়িয়ে যেতে পারে। আজন্য উচিত সুন্দর করে প্যারা আকারে সাজিয়ে লেখা।

আর প্যারা আকারে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখলে আপনার আর্টিকেলটি দেখতেও অনেক সুন্দর লাগবে। এক্ষেত্রে আপনি লেখার আগে জনপ্রিয় কিছু ব্লগ সাইট ভিজিট করে আইডিয়া নিবেন। তারা আসলে কিভাবে একটি আর্টিকেল সাজিয়ে লিখেছে।

বুলেট পয়েন্ট এবং নাম্বার ব্যবহার করুন

আপনার আর্টকেলে যদি কোন বিষয় সিরিয়াল বাই সিরিয়াল কোন টপিক থাকে, তাহলে অবশ্যই তা লিস্ট আকারে বুলেট পয়েন্ট অথবা নাম্বারিং করে দিবেন এতে করে আর্টিকেলটি পড়তে ও বুঝতে সুবিধা হবে। 

এই আর্টিকেলের উপরে একটি প্যারায় আপনি হয়তো খেয়াল করেছে। পয়েন্ট তৈরি করা সেকশনটিতে আমি পয়েন্টের ব্যবহার করেছি। ঠিক ঐরকম ভাবে আপনি আপনার আর্টিকেল প্রয়োজন অনুযায়ি লিস্ট আকারে সাজিয়ে লিখবেন।

আপনার কনটেন্টকে সাজানো 

কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে আনিসুর রশিদ দিপু নিজের কিছু কৌশল অবলম্বন করেন। তিনি তার পুরো কনটেন্টকে বিশেষ কিছু ফরমেটে ভাগ করেন। নতুন হয়ে থাকলে এভাবে আপনার ব্লগে লিখে প্র্যাকটিস করতে পারেন।

► প্রথমত সূচনা অংশ: আপনার লেখা কনটেন্টের সূচনা বা ভূমিকা ১, ২ অথবা ৩ টি প্যারাগ্রাফে হতে পারে। প্রতিটি প্যারাগ্রাফ হবে তিন-চার লাইন। সব মিলিয়ে আপনার সূচনা ১০০ বা ২০০ শব্দের মধ্যে রাখতে চেষ্টা করুন। আপনার টাইটেলটি প্রথম প্যারাগ্রাফে ব্যবহারের চেষ্টা করুন। যদি কাওয়ার্ড বুঝে থাকেন তবে কিওয়ার্ডটা ব্যবহারের চেষ্টা করুন। আপনার টাইটেলই যদি কিওয়ার্ড হয়ে থাকে তবে টাইটেলই ব্যবহার করুন।


► দ্বিতীয়ত সাবটাইটেল অংশ: প্রথম ও দ্বিতীয় প্যারাগ্রাফে ১০০-১৫০ শব্দ লিখতে পারেন। একবার কিওয়ার্ড ব্যবহারের চেষ্টা করতে পারেন। এই অংশটি হচ্ছে মূল আলোচনা শুরুর আগের অংশ। অর্থাৎ এরপর আপনি মূল আলোচনায় যাবেন।


► মূল বডি অংশ: এখানে কয়েকটি পয়েন্ট বা টাইটেল করে আলোচনা করতে পারেন। সাধারণত ক্লাইন্টরা এমনই চায়। ধরুন, এখানে ৫ টি পয়েন্ট দিলেন। এবার শুরু করতে পারেন বিস্তারিত আলোচনা। ৫ টি পয়েন্টে আপনি যত ইচ্ছে লিখুন। তবে অনুচ্ছেদ ভাগ ভাগ করে লিখতে চেষ্টা করবেন। মনে করুন, আপনার প্রথম পয়েন্টে আপনি লিখবেন ৫০০ শব্দ। সেক্ষেত্রে প্রতিটি পয়েন্ট ৫ টি অনুচ্ছেদে বিভক্ত করে লেখার চেষ্টা করুন। ছোট ছোট অনুচ্ছেদ এবং বাক্য পড়তে সুবিধা হয় পাঠকের।


► শেষে উপসংহার অংশ: এখানে আপনি ১০০ থেকে ৩০০ শব্দের মধ্যে ১ থেকে ৩ অনুচ্ছেদে এতক্ষণের আলোচনার প্রেক্ষিতে একটি উপসংহার দিতে পারেন। চেষ্টা করবেন এখানেও একবার কীওয়ার্ড ব্যবহার করার।

আপনি চাইলে এই ফরমেটগুলো নিজের মত করে সাজিয়ে নিতে পারেন। তবে প্যারাগ্রাফ করে পয়েন্ট করে প্র্যাকটিস করুন। 

শেষ কথাঃ 

তো বন্ধুরা আমাদের এই পোস্টে আপনাকে জানানো হলো প্যারাগ্রাফ এবং পয়েন্ট ব্যবহার সম্পর্কে। আপনি যদি আমাদের দেওয়া আর্টিকেল পুরোপুরি ভাবে অনুসরণ করে থাকেন। 

তাহলে আপনি উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নিতে পারছেন। ভালো লাগলে অব্যশই কমেন্ট করবেন । আল্লাহ হাফেজ ।

আরো পড়ুন:

 

cobangla
We will be happy to hear your thoughts

Leave a reply

Tech Topic Cobangla
Logo
Register New Account