ফেসবুকের সাবেক কর্মী ফেসবুক সম্পর্কে একি তথ্য ফাঁস করলেন || Facebook employee leaked the same information about Facebook

Deal Score0
Deal Score0

 


ফেসবুকের তথ্য ফাঁস করে রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছেন অনেকবার। তবে এত দিন পরিচয় প্রকাশ করেননি। এবার আর রাখঢাক না করে প্রকাশ্যে এলেন ফ্রান্সেস হাউগেন। মার্কিন টিভি চ্যানেল সিবিএসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অংশ নেন ফেসবুকের এ সাবেক কর্মী।




বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, ফেসবুকের যে দলটি মিথ্যা তথ্যের প্রসার রোধে কাজ করে, সেখানে পণ্য ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন ফ্রান্সেস হাউগেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তাঁর ফাঁস করা নথিগুলোতে প্রমাণিত হয় ফেসবুক বরাবরই নিরাপত্তার চেয়ে প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেয়।



তবে ফেসবুক বলছে, তথ্য ফাঁসের ঘটনাগুলো বিভ্রান্তিকর এবং প্রতিষ্ঠানের ইতিবাচক গবেষণাগুলো আড়াল করেছে।




সিবিএসের ‘সিক্সটি মিনিট’ নামের অনুষ্ঠানে হাউগেন জানান, ফেসবুকের কর্মকাণ্ডে ক্ষুদ্ধ হয়েই এ বছর প্রতিষ্ঠানটিতে আর কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ফেসবুক ছাড়ার আগে বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ নথি সঙ্গে নিয়ে যান তিনি।



সেই নথিগুলো তিনি প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেন। তিন সপ্তাহ ধরে সেই নথিগুলো নিয়ে পর্যায়ক্রমে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি। যা ‘ফেসবুক ফাইলস’ হিসেবে পরিচিতি পায়।



প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে একটির বিষয় ছিল, তারকা ও রাজনীতিবিদদের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বেলায় ভিন্ন আচরণ করে ফেসবুক। সাধারণ ব্যবহারকারীদের পোস্ট ফেসবুকে অনেক নিয়মনীতির মধ্যে দিয়ে গেলেও ভিআইপিরা বরাবরই ছাড় পেয়ে আসছেন।




আরেকটি নথি থেকে জানা যায়, ফেসবুকের একদল শেয়ারহোল্ডার জটিল এক মামলা করে বসে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। বিনিয়োগকারী ওই দলের অভিযোগ, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির ব্যাপারটি মিটিয়ে ফেলতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশনকে ৫০০ কোটি ডলার দেয় ফেসবুক। এত বড় অঙ্কের অর্থ দেওয়ার কারণ মূলত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গকে ব্যক্তিগত দায় থেকে মুক্তি দেওয়া।



এদিকে ইনস্টাগ্রাম নিয়ে ফাঁস হওয়া অভ্যন্তরীণ গবেষণাটি রাজনীতিবিদদের জন্যও দুশ্চিন্তার কারণ। সেই গবেষণাপত্রে বলা হয়, টিনএজারদের জন্য ইনস্টাগ্রাম ‘টক্সিক’ প্ল্যাটফর্ম। কারণ, তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।



ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপে অংশ নেওয়া ৩২ শতাংশ কিশোরী বলেছে, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করায় তারা নিজেদের শরীর সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতে শুরু করে।





অনলাইনে শিশুদের সুরক্ষাবিষয়ক শুনানির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট সাব–কমিটির সামনে কাল মঙ্গলবার সাক্ষ্য দেবেন হাউগেন।



গত সপ্তাহে এক ফেসবুক নির্বাহী মার্কিন সিনেটরদের বলেন, ফাঁস হওয়া নথিতে কিশোরদের ওপর ইনস্টাগ্রামের ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরা হয়নি।



তবে হাউগেন জানান, জনগণ এবং ফেসবুকের ভালো নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে বরাবরই স্বার্থের সংঘাত ছিল। ফেসবুক বারংবার নিজের স্বার্থ দেখেছে, যেমন, বেশি অর্থ আয়।



এমনকি জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় সহিংসতা ছড়াতে ফেসবুক সাহায্য করেছে বলে দাবি করেন হাউগেন। তিনি বলেন, মার্কিন নির্বাচনের সময় ফেসবুক নিরাপত্তামূলক সুবিধাগুলো চালু করেছিল ঠিকই, তবে সীমিত সময়ের জন্য।



সাক্ষাৎকারে হাউগেন বলেন, নির্বাচন শেষ হওয়ামাত্র সুবিধাগুলো তারা বন্ধ করে দেয়। অথবা নিরাপত্তার চেয়ে প্রবৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিতে সেটিংস বদলে আগের অবস্থায় নিয়ে যায়, যা গণতন্ত্রের সঙ্গে বেইমানির মতো।



ফেসবুকের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ সিএনএনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জানান, সে দাঙ্গার পেছনে ফেসবুক ছিল, এমনটা বলা হাস্যকর।

cobangla
We will be happy to hear your thoughts

Leave a reply

Tech Topic Cobangla
Logo
Register New Account