ব্লগ রাইটিং কি ? কত প্রকার ও কি ? কি ?
ব্লগ রাইটিং কি ? ডিজিটাল কনটেন্ট কত প্রকার ও কি ? কি ?
বর্তমানে মানুষ অনলাইনে আয়ের দিকে বেশি ঝুঁকছে। আর এই করোনাকালীন সময় তো অনলাইনে কেনাবেচা বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনটা হয়েছে যে মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা ছাড়া অন্য কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছেনা। তাই অনলাইনে এসে সবাই সবার নিজের প্রয়োজনীয় সব কিছু কিনে থাকছে।
তবে অনলাইনে প্রয়োজনীয় পণ্য জিনিসটি কেনার আগে সেই জিনিসটি রিসার্চ করে থাকি। আর এই রিসার্চ করার জন্য আমরা গুগলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করে থাকি। সেই ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট বা আর্টিকেল পড়ে থাকি। তাই বর্তমানে কন্টেন্ট রাইটার এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আয় করে থাকছে। তাই অনেকেই কন্টেন্ট রাইটিং কে নিজেদের পার্টটাইম পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছে। তাছাড়া তাদের মধ্যে একটি কৌতুহল জেগে উঠছে যে কন্টেন্ট রাইটিং কি এবং ডিজিটাল ভাবে কন্টেন্ট রাইটিং কিভাবে আরও বৃদ্ধি করা যায়।
কন্টেন্ট রাইটিং কি? | What Is Content Writing
কন্টেন্ট রাইটিং কি? জানার আগে অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে কনটেন্ট কি? কন্টেন্ট হচ্ছে যেকোনো বিষয়ে জানার জন্য আমরা যে আর্টিকেল বা ওয়েবসাইটে যে লেখাগুলো পড়ে থাকি সেগুলো হচ্ছে কনটেন্ট। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আপনি গ্রাফিক ডিজাইন শেখার জন্য একটি কম্পিউটার কিনতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনি জানেন না গ্রাফিক ডিজাইন শেখার জন্য কোন কম্পিউটার আপনার জন্য উপযোগী। আপনি একটি এটি কেনার জন্য ওয়েবসাইট থেকে একটি কন্টেন্ট পড়ে সে সম্পর্কে জেনে নিলেন। মূলত এটি হচ্ছে কন্টেন্ট।
আর কন্টেন্ট রাইটিং হচ্ছে আপনি যেকোন বিষয়ের উপর রিসার্চ করে নিজের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের মতো করে সে বিষয় সম্পর্কে ওয়েবসাইটে যে লেখালেখি করলেন সেটিকে কন্টেন্ট রাইটিং বলা হয়। আর যিনি কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করেন তাঁকে কন্টেন্ট রাইটার বলা হয়।
ব্লগ রাইটিং কি ?
ব্লগ (Blog) একটি ইংরেজি শব্দ। ব্লগ এর বাংলা প্রতিশব্দ হল এক ধরনের অনলাইন ব্যক্তিগত ডায়েরি কিংবা অনলাইনে ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের সুযোগ সৃষ্টির একটি মাধ্যম। এছাড়াও আপনি বলতে পারেন ব্যক্তিকেন্দ্রিক পত্রিকা অথবা অনলাইন জার্নাল।
এটা এমন একটা মাধ্যম যেখানে সব শ্রেণী ও পেশার মানুষ নিজের মতামত জানাতে পারে। অনেক মানুষ আছে যারা লিখতে পছন্দ করে এবং তা অন্যন্যা মানুষদের কাছে স্বাধীন ভাবে প্রকাশ করতে চায়। তাদের জন্য ব্লগ হচ্ছে একটি আদর্শ অপশন।
ব্লগকে কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্রচার ও প্রসারের মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো ব্লগ তৈরি করে অর্থ আয় করা যায়। তবে ব্লগ এর অনেক প্রকারভেদ রয়েছে। ব্লগ এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক দিয়ে দেখে আসতে পারেন।
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কি?
কনটেন্ট রাইটিং কি সে বিষয়ে তো জানতে পারলাম কিন্তু এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে বলুন তো কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কি তাহলে কি আপনি সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন আমি নিশ্চিত যে আপনাদের মধ্যে অনেকেই এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবে না তো এবার আমি কনটেন্ট রাইটিং কি সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কি সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।
সহজ কথায় বলতে গেলে, যারা আসলে কন্টেন্ট তৈরি করে। তাদেরকে বলা হয়ে থাকে Content Creator. যেমন ধরুন, আমরা ইউটিউব এর মধ্যে বিভিন্ন ভিডিও দেখতে পারি। তো এই ভিডিও গুলো কিন্তু youtube এর মধ্যে এমনি এমনি আসে নাই। বরং আপনার বা আমার মত এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা এই ধরনের ভিডিও গুলো তৈরি করে থাকে।
আর যারা ইউটিউবের জন্য এই ধরনের ভিডিও তৈরি করে। তাদের কে বলা হয়ে থাকে, Youtube Content Creator. ঠিক একই ভাবে আপনি youtube ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্ম। যেমন ফেসবুকের মধ্যে ভিডিও দেখতে পারবেন। আর ফেসবুকের মধ্যেও আপনার বা আমার মত মানুষেরাই ভিডিও তৈরি করে থাকে। মূলত তাদেরকে ও বলা হয়ে থাকে, content creator.
ডিজিটাল কনটেন্ট কত প্রকার?
ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত যেকোন তথ্য, ছবি, শব্দ কিংবা উভয়ই ডিজিটাল কনটেন্ট। কাজেই নানাভাবে ডিজিটাল কনটেন্টকে ভাগ করা যায়। তবে ডিজিটাল কনটেন্টকে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা যায় যেমনঃ
- টেক্সট বা লিখিত কনটেন্ট
- ছবি
- শব্দ বা অডিও এবং
- ভিডিও ও এনিমেশন
টেক্সট বা লিখিত কনটেন্ট
ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত লিখিত তথ্য বা উপাত্তের পরিমাণই বেশি। সব ধরনের লিখিত তথ্য এই শ্রেণীর কনটেন্ট। এর মধ্য রয়েছে নিবন্ধ, ব্লগ পােস্ট, পণ্য বা সেবার তালিকা ও বর্ণনা, পণ্যের মূল্যায়ন, ই-বুক,শ্বেতপত্র সংবাদপত্র ইত্যাদি।
ছবি
সব ধরনের ছবি, ক্যামেরায় তােলা বা হাতে আঁকা বা কম্পিউটারে তৈরি সকল ধরনের ছবি এই শ্রেণীর কনটেন্ট। তবে এর মধ্যে রয়েছে ফটো, হাতে আঁকা ছবি, অঙ্কন করা, কার্টুন, এনিমেটেড ছবি, ইনফো-গ্রাফিক্স ইত্যাদি।
শব্দ বা অডিও
শব্দ বা অডিও আকারের সকল কনটেন্ট এই প্রকারের অন্তর্ভুক্ত। যেকোন বিষয়ের অডিও ফাইলই অডিও কনটেন্ট এর পাশাপাশি ইন্টারনেটে প্রচারিত ব্রডকাস্ট অডিও কনটেন্টের অন্তর্ভুক্ত।
ভিডিও ও এনিমেশন
বর্তমানে মােবাইল ফোনে ভিডিও ব্যবস্থা থাকায় ভিডিও কনটেন্টের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। ইউটিউব বা এই ধরনের ভিডিও শেয়ারিং সাইটের কারণে ইন্টারনেটে ভিডিও কনটেন্টের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এছাড়াও বর্তমানে ইন্টারনেটে কোন ঘটনার ভিডিও সরাসরি প্রচারিত হয়ে থাকে। এটিকে বলা হয় ভিডিও স্ট্রিমিং। এমন কনটেন্টও ভিডিও কনটেন্টের আওতাভুক্ত হয়ে থাকে।
কন্টেন্ট রাইটিং টপিক
এতক্ষণ ধরে আমি কন্টেন্ট রাইটিং কি সেটা সম্পর্কে বুঝিয়ে বলেছি। এর পাশাপাশি আপনি কোন বিষয়ে কন্টেন্ট লিখতে পারবেন। সে সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি। তবে এখন হয়তোবা অনেকেই ভাবছেন যে, কন্টেন্ট রাইটিং টপিক কোথায় পাবো। আর এই প্রশ্নের উত্তরে আমি আপনাকে বলব যে।
সমুদ্রের মধ্যে যে পরিমাণ জল রয়েছে। ঠিক একই পরিমাণ কনটেন্ট রাইটিং এর টপিক রয়েছে। আর আপনি চাইলে যে কোনো ধরনের টপিক সম্পর্কে কনটেন্ট লিখতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার কোন ধরনের বাধ্যবাধকতা থাকবে না। তবে প্রশ্ন এখানে থেকেই যাচ্ছে যে, একজন মানুষ চাইলেই কি যে কোন টপিক এর কনটেন্ট লিখলেই সফলতা পাবে। এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব, না। যে কোন টপিকে কন্টেন্ট লিখলে সফলতা পাওয়া সম্ভব না।
বরং আপনাকে এমন সব বিষয়ের উপর কন্টেন্ট লিখতে হবে। যে বিষয় গুলো সম্পর্কে মানুষ জানতে চায়। যেমন ধরুন, আপনি এমন একটি টপিক সম্পর্কে কন্টেন্ট লিখলেন। যেটি টপিক নিয়ে মানুষের কোন প্রকারের জানার আগ্রহ নেই। তাহলে কিন্তু মানুষ আপনার লেখা কন্টেন টি আর পড়বে না। তাই আপনাকে এমন টপিকে কনটেন্ট লিখতে হবে। যে কনটেন্ট এর মধ্যে মানুষ উপকৃত হতে পারে।
এবং মানুষ যেন নতুন কিছু জানতে পারে। আর মানুষ আসলে কোন বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে চায়। সেটি আপনি বিভিন্ন প্রকারের টুলস থেকে জেনে নিতে পারবেন। আর এই ধরনের বিভিন্ন প্রকারের টুলস থেকে যখন আপনি উক্ত টপিক গুলো খুঁজে নিতে পারবেন। তখন যদি আপনি সেই টপিক নিয়ে কন্টেন্ট লিখেন। সে ক্ষেত্রে আপনার কনটেন্ট গুলো পড়ার মতো অনেক পাঠক পাবেন।