সৌর বিদ্যুৎ কী এবং সৌর বিদ্যুৎ কিভাবে কাজ করে?
সৌর বিদ্যুৎ কি সৌর বিদ্যুৎ কিভাবে কাজ করে আজ আমরা বিজ্ঞানের একটি অসাধারণ ব্যবহারিক বিসয় নিয়ে আলোচনা করব। পৃথিবীতে বিজ্ঞানের অনেক বিষ্ময় আবিস্কার রয়েরেছ তার মধ্যে অন্যতম হল সৌর বিদ্যুৎতের আকর্ষনীয় আবিস্কার। যা বিদ্যুৎতের ব্যবহারকে কমিয়ে সৌর আলোয় মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে পাল্টে দিয়েছে। আজ আমরা সৌর বিদ্যুৎ কি এ সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করব এ অধ্যায়ে।
সৌর প্যানেল মূলত একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইজ, যার কাজ হলো সূর্যের আলোকশক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করা। একটি সৌর প্যানেলে অনেক সোলার সেল থাকে। প্রত্যেকটি সেল একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। সোলার সেল অনেকটা ব্যাটারির মতো কাজ করে; কিন্তু সাধারণ ব্যাটারি কেমিক্যাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আর সোলার সেল আলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
সৌর প্যানেলের ব্যাটারিতে বিদ্যুৎ সংগৃহীত হয়। সংগৃহীত বিদ্যুৎ রাতে বা মেঘলা দিনে ব্যবহার করা যায়। সাধারণত ২০-২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সৌর প্যানেলের কার্যকারিতা বেশি হয়ে থাকে। এই প্যানেল কখনোই সূর্য থেকে প্রাপ্ত এনার্জির চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে না।
সৌর প্যানেলের আরেক নাম হচ্ছে ফোটোভোলটাইক (Photovoltaic) প্যানেল বা পিভি। এখানে ফটো বলতে লাইট এবং ভোলটাইক বলতে বিদ্যুৎ বোঝানো হয়েছে। এই প্যানেল মূলত অর্ধ-পরিবাহী বস্তু সিলিকন দিয়ে নির্মিত এক ধরনের দ্বি-তলবিশিষ্ট ইলেক্ট্রিক স্যান্ডউইচ। বিদ্যুৎ সর্বাধিক পরিমাণে পাওয়ার জন্য এই প্যানেলকে ছাদে বা উঁচু জায়গায় এমনভাবে স্থাপন করতে হয়, যেন দিনের বেশির ভাগ সময়জুড়ে এতে সূর্যের আলো পতিত হয়।
বেশির ভাগ প্যানেল সূর্য থেকে প্রাপ্ত এনার্জির ১০-২০ শতাংশই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। আর একটি সিলিকন সৌর প্যানেল সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। কারণ সূর্যের আলোতে বিভিন্ন তরঙ্গের ফোটন থাকে। সৌর প্যানেল নির্দিষ্ট কিছু তরঙ্গকে ধরতে এবং তার ওপর কাজ করতে পারে।
সৌর প্যানেল পরিবেশবান্ধব।
এটি গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের মতো চরম সমস্যা থেকে বাঁচতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া এই বিদ্যুৎ সম্পূর্ণ ফ্রি। মাসে মাসে বিল দিতে হয় না। আর সেটআপ করতেও তেমন টাকা লাগে না।
সৌর বিদ্যুৎ কিভাবে কাজ করে?
সৌর বিদ্যুৎ কিভাবে কাজ করে সূর্য থেকে অসংখ্য( স্বতস্ফূর্ত প্রক্রিয়া) ফোটোন এসে সোলার প্যানেলে আপতিত হয়। সোলার প্যানেলে থাকা ইলেক্ট্রন সেই আপতিত ফোটোন থেকে শক্তি শোষণ করে এবং শোষণের পর ইলেকট্রন নির্গত হবে প্যানেল থেকে। উল্লেখ্য ইলেকট্রন নির্গত হওয়ার প্রক্রিয়াটি আলোর তীব্রতার উপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে আলোর কম্পাঙ্কের উপর।
আমরা অনেক দিন বা বেশ কয়েক বছর ধরে সৌর বিদ্যুৎতের বিপ্লবের কথা শুনে আসছি। যার মূলমন্ত্র হল: এমন এক দিন আসবে,যেদিন আমরা বিনা খরচে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারব। আর এ বিদ্যুৎতের মূল উৎস হল সূর্য।
সৌর শক্তি সাধারণত দুই ভাবে কাজ করে:
১। প্রত্যক্ষভাবে।
২। পরোক্ষভাবে।
- প্রত্যক্ষ ব্যবহার:-
প্রত্যক্ষভাবে সূর্যরশ্মিকে ব্যবহার করাকে ফোটো ভোলটাইক বলা হয়। প্রাথমিকভাবে এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে ছোট ও মাঝারি পরিসরে।
- পরোক্ষ ব্যবহার:-
সাধারণত ঘনীভূত সৌর শক্তি বা কনসেনট্রেডেট সোলার পাওয়ার এর মাধ্যমে পরোক্ষভাবে সূর্যরশ্মিকে ব্যবহার করা হয়।
পৃথিবীর পাঁচটি সেরা সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প:-
পৃথিবীর সেরা পাঁচটি সৌর বিদ্যুৎ কি এবং এই পাঁচটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের নাম না জানলেই নয় নিচে এগুলো দেওয়া হল:-
১। প্রকল্প আরনিডো সোলার প্ল্যান্ট, স্পেন.
২। প্রকল্প সোলার ওয়ালপোলেঞ্জ, জার্মানি.
৩। প্রকল্প পিউরতোলানো ফটোভোলাটিক পার্ক,স্পেন.
৪। প্রকল্প ফটোভোলাটিক মোউরা পাওয়ার স্টেশন, পর্তুগাল.
৫। প্রকল্প ওলমেডিলা ফটোভোলাটিক পার্ক, স্পেন.
আলোচনার সর্বশেষ কথায় বলতে চাই যে, আজ আমাদের লেখার মূল সারমর্ম হল সৌর বিদ্যুৎ কি তা জানতেই আমাদের আপনাদের উর্দ্দেশে কলম ধরা। আরো অনেক কিছু সবার আগে জানতে আমাদের https://www.cobangla.com এর সাথে থাকার জন্য আহব্বান রইল।