কম্পিউটার কি? What is a computer?

Deal Score0
Deal Score0

 

পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটারের নাম কি?

  • পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটারের নাম হচ্ছে ENIAC (Electronic Numerical Integrator and Computer) । এটিই প্রথম প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করার ডিজিটাল কম্পিউটার। এর পর থেকেই মূলত কম্পিউটার প্রজন্ম শুরু হয়।
  • দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনী একটি পুরোপুরি ইলেক্ট্রনিক কম্পিউটার নির্মানের পরিকল্পনা নিলে আধুনিক কম্পিউটারের জনক ভন নিউম্যান, প্রেসপার একর্টি জুনিয়র, এবং হারম্যান গোল্ডস্টেইনের মতো কম্পিউটার মহারথী মুর স্কুল অব ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেন। পঞ্চাশ ফুট বাই ত্রিশ ফুটের ভূ-গর্ভস্থ কক্ষে চল্লিশ জন বিজ্ঞানী তিন দেয়াল জুড়ে থাকা এই কম্পিউটার চালাতেন।

কম্পিউটার (Computer) কি?

কম্পিউটার একটি অত্যাধুনিক ইলেকট্রিক যন্ত্র। ল্যাটিন শব্দ Computare থেকে ইংরেজি Computer শব্দটির উৎপত্তি।

কম্পিউটার (Computer) শব্দটির আভিধানিক অর্থ গণণা যন্ত্র বা হিসেবকারী যন্ত্র। পূর্বে কম্পিউটার দিয়ে শুধু মাত্র হিসাব-নিকাশের কাজই করা হতো। কিন্তু বর্তমানে অত্যাধুনিক কম্পিউটার দিয়ে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে জটিল হিসাব-নিকাশের কাজ নির্ভুলভাবে করা ছাড়াও বহু রকমের কাজ করা যায়।

কম্পিউটার সেকেন্ডের মধ্যে কোটি কোটি হিসাব-নিকাশ করতে পারে। কম্পিউটারে কাজ করার গতি হিসাব করা হয় ন্যানোসেকেন্ড (NS) এ । ন্যানোসেকেন্ড হচ্ছে এক সেকেন্ডের একশত কোটি ভাগের এক ভাগ সময় মাত্র।

কম্পিউটারের অভ্যন্তরে রয়েছে অনেক বর্তনী। ইলেকট্রন প্রবাহের মাধ্যমে কম্পিউটারের যাবতীয় কাজকর্ম পরিচালিত হয়। ইলেকট্রনিক সংকেতের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে কম্পিউটার ল্যাংগুয়েজ বা কম্পিউটারের ভাষা।

কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে?

কম্পিউটার  সাধারণত দুইটি মাধ্যমের সমন্বয়ে কাজ সম্পাদন করে থাকে। নিচে উদাহরণ সহকারে আলোচনা করা হলো।

  • প্রথমত, হার্ডওয়্যার: কম্পিউটারের বাহ্যিক আকৃতিসম্পন্ন সকল যন্ত্র, যন্ত্রাংশ ও ডিভাইস সমূহকে হার্ডওয়্যার বলে। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে আবার তিনভাগে ভাগ করা যায়।

  1. ক) ইনপুট যন্ত্রপাতি: কী-বোর্ড, মাউস, ডিস্ক, স্ক্যানার, কার্ড রিডার, ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।
  2. খ) সিস্টেম ইউনিট: হার্ড ডিস্ক, মাদারবোর্ড, এজিপি কার্ড, র‍্যাম ইত্যাদি।
  3. ঘ) আউটপুট যন্ত্রপাতি: মনিটর, প্রিন্টার, ডিস্ক, স্পিকার, প্রোজেক্টর, হেড ফোন ইত্যাদি।

  • দ্বিতীয়ত, সফটওয়্যার: সমস্যা সমাধান বা কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কম্পিউটারের ভাষায় ধারাবাহিকভাবে সাজানো নির্দেশমালাকে প্রোগ্রাম বলে। প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রাম সমষ্টি যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডওয়্যারকে কার্যক্ষম করে তাকেই সফটওয়্যার বলে। কম্পিউটারের সফট্ওয়্যারকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

  1. ক) সিস্টেম সফটওয়্যার: সিস্টেম সফট্‌ওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে ব্যবহারিক প্রোগ্রাম নির্বাহের জন্য কম্পিউটারের সামর্থ্যকে সার্থকভাবে নিয়োজিত রাখে।
  2. খ) এপ্লিকেশন সফটওয়্যার: ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত প্রোগ্রামকে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলে। ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক রকম তৈরি প্রোগ্রাম বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে পাওয়া যায়, যাকে সাধারণত প্যাকেজ প্রোগ্রামও বলা হয়।
  3. সুতরাং একটি কম্পিউটার হল  হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর যৌথ সমন্বয়।

আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে ?

চার্লস ব্যাবেজ

আধুনিক কম্পিউটারের জনক হলো বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ। তিনি একাধারে একজন ইংরেজ যন্ত্র প্রকৌশলী, গণিতবিদ, আবিষ্কারক ও দার্শনিক ছিলেন। তিনি ১৭৯১ সালে লন্ডনে জন্মগ্রহন করেন।

বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ ১৮১০ সালে প্রথম যান্ত্রিক উপায়ে সংখ্যা ও সারণী গণনা করার জন্য যন্ত্রের ব্যবহার এর কথা ভাবেন । এবং তার এই ভাবনা থেকেই ১৮৩০ সাল নাগাদ তিনি একটি যন্ত্র তৈরী করার পরিকল্পনা করেন যা পাঞ্চড্ কার্ড দিয়ে চালিত হবে এবং ক্রমানুযায়ী একের পর এক কার্য সম্পাদন করতে পারবে। এই যন্ত্রটিই আধুনিক কম্পিউটারেরই প্রথম সংস্করণ হিসেবে ধরা হয় ও অ্যানালিটিকাল ইঞ্জিন হিসাবেও পরিচিতি লাভ করে । তবে অর্থায়নের অভাবে চার্লস ব্যাবেজ তার এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে পারেননি। কিন্তু তারপরও তার এই অ্যানালিটিকাল ইঞ্জিন যান্ত্রিকভাবে বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যা সামাধান করতে পারতো। এবং তার এই ইঞ্জিনের অনেক বৈশিষ্ট্য আজকের আধুনিক কম্পিউটার ডিজাইনে এখনো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই চার্লস ব্যাবেজকেই আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়।

কম্পিউটার যেভাবে কাজ করে !

কম্পিউটার মূলত হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বযে কাজ করে থাকে।

হার্ডওয়্যার কি?

কম্পিউটারের বাহ্যিক আকৃতিসম্পন্ন সকল যন্ত্র, যন্ত্রাংশ ও ডিভাইস সমূহকে হার্ডওয়্যার বলে ।

কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে মূূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:-

• ইনপুট ডিভাইস
• আউটপুট ডিভাইস ও
• সিস্টেম ডিভাইস

১/ ইনপুট ডিভাইস : যেসকল ডিভাইসের বা যন্ত্রের মাধ্যমে কম্পিউটারে কোন নির্দেশ প্রদান করা কিংবা কোন ডেটা বা তথ্য অথবা মিডিয়া ইনপুট বা প্রবেশ করানো হয় তাকে ইনপুট ডিভাইস বলে। যেমন:- কি-বোর্ড , মাউস, স্ক্যানার, ডিক্স, কার্ড রিডার, মাইক্রোফোন, ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।

২/ আউটপুট ডিভাইস : যে সকল ডিভাইস বা যন্ত্রের মাধ্যমে কম্পিউটার কোন তথ্য বা ডেটা অথবা মিডিয়া যে ইউনিটের মাধ্যমে দিয়ে থাকে বা পাওয়া যায় তাকে আউটপুট ডিভাইস বলে। যেমন:- মনিটর, স্পিকার, প্রিন্টার, হেডফোন, প্রজেক্টর, ডিক্স, পেনড্রাইভ ইত্যাদি।

কম্পিউটার কত প্রকার ও কী কী?

বর্তমানে বিশ্বে ব্যবহার করা কম্পিউটার গুলোর মধ্যে বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। কাজের ধরন ও ব্যবহারের প্রয়োগক্ষেত্র অনুসারে কম্পিউটার ব্যবহার প্রকারভেদ। গঠন এবং কাজের প্রকৃতি অনুসারে কম্পিউটারের প্রকারভেদ। ডিজিটাল কম্পিউটার আকার, আয়তন এবং কার্যকারীতা অনুসারে কম্পিউটারের প্রকারভেদ।

তবে, কাজের ধরন ও প্রকারভেদ অনুসারে কম্পিউটার দুই (২) প্রকার। যথা-

  • ১. সাধারণ কাজে ব্যবহার করার জন্য কম্পিউটার
  • ২. বিশেষ কাজে ব্যবহার করার জন্য কম্পিউটার

আবার গঠন ও কাজের প্রকৃতি বা প্রযুক্তি অনুসারে কম্পিউটার তিন (৩) প্রকার। যথা-

  • ১. ডিজিটাল কম্পিউটার
  • ২. অ্যানালগ কম্পিউটার
  • ৩. হাইব্রিড কম্পিউটার

ডিজিটাল কম্পিউটার বা আকার, আয়তন এবং কার্যক্ষমতা অনুসারে কম্পিউটার চার (৪) প্রকার। যথা-

  1. মাইক্রো কম্পিউটার
  2. সুপার কম্পিউটার
  3. মিনি কম্পিউটার
  4. মেইনফ্রেম কম্পিউটার 

মাইক্রো কম্পিউটারকে আবার পাঁচ (৫) প্রকার। যথা-

  1. ডেক্সটপ কম্পিউটার
  2. ল্যাপটপ কম্পিউটার
  3. নোটবুক কম্পিউটার
  4. পকেট কম্পিউটার
  5. পামটপ কম্পিউটার

কম্পিউটারের ব্যবহার বা প্রয়োগ সমূহ

বর্তমান এই আধুনিক যুগে চারিপাশে কম্পিউটার ব্যবহার করা প্রচুর পরিমানে। আপনার চারিদিকে নজর রাখুন কম্পিউটারে প্রয়োগ দেখতে পাবেন। এটার প্রধাণ কারণ জানেন? কারণ হলো, নির্ভুল কার্যক্ষমতা, দ্রুত গতি, মেমোরি ইত্যাদির কারণে অনেক কম সময়ে বেশি কাজ করতে পারে।

cobangla
We will be happy to hear your thoughts

Leave a reply

Tech Topic Cobangla
Logo
Register New Account