রিভিউ কন্টেন্ট কি? কিভাবে ভালো রিভিউ আর্টিকেল লিখবো ?

Deal Score0
Deal Score0

 

রিভিউ কন্টেন্ট কি? কিভাবে রিভিউ কন্টেন্ট লিখতে হয় ? বিস্তারিত এখানে ।

রিভিউ আর্টিকেল কি ? 

আপনি আপনার কাঙ্খিত ফলাফল পেতে গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে যেয়ে সার্চ করার পর যেসব লেখাসমূহ দেখতে পান সেগুলোকেই বলা হয় কনটেন্ট অথবা আর্টিকেল। বিস্তারিত এবং স্পষ্ট ধারণা সহ কোন কিছু সম্বন্ধে সম্পূর্ণ একগুচ্ছ লেখাকে আর্টিকেল রাইটিং বলা হয়। 

ধরুন আপনি একটি প্রোডাক্ট বিক্রি করতে চাচ্ছেন বা কিনতে চাচ্ছেন। আপনি যদি প্রোডাক্টটি বিক্রি করতে চান তাহলে আপনার একটি রিভিউ আর্টিকেল লিখে আপনার ক্লায়েন্ট দের বোঝাতে হবে যে এই প্রোডাক্টটিতে কি কি ভালো জিনিস আছে যে আপনার ক্লায়েন্ট গুলো এই প্রোডাক্টটি কিনবে। 

ভালো ভাবে বলা যায়, একটি রিভিউ আর্টিকেলে প্রোডাক্ট এর ব্যাপারে আপনার পার্সোনাল মতামত নিয়ে সম্পূর্ণ বিস্তারিতভাবে ধারনা দিতে হবে। অন্যদিকে আপনি যদি কোন প্রোডাক্ট কিনতে চান তাহলে সেই প্রোডাক্ট এর ব্যাপারে আপনি যে বিস্তারিত একটি ধারনা পাবেন সেটিও একটি রিভিউ আর্টিকেল থেকেই স্পষ্ট বুঝা যাবে ।

রিভিউ আর্টিকেল এ যে শুধু প্রোডাক্ট নিয়েই হয় বা প্রোডাক্ট নিয়েই থাকবে সেটা কিন্তু নয়, একটি রিভিউ আর্টিকেল এ অনেক কিছুই রিভিউ করা যায়। আপনি যদি একটি মুভি দেখার পর সেই মুভি নিয়ে ভালো-মন্দ কিছু লেখেন তাহলে সেটিও একটি রিভিউ আর্টিকেল ই হবে। 


কনটেন্ট রাইটিং টিপস।

সহজ কথায় বলতে গেলে কনটেন্ট রাইটিং হচ্ছে, কোন একটি বিষয় সম্পর্কে লেখা যেন অন্যরা সেই সম্পর্কে জানতে পারে। আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট একটি বিষয় যেমন হতে পারে টেকনোলজি, শিক্ষা, সংবাদ, স্বাস্থ্য বা অন্য কিছু সম্পর্কে লিখেন, তাহলে তা হয়ে যাবে কনটেন্ট রাইটিং। অর্থাৎ আপনি একটি কনটেন্ট নিয়ে লেখালেখি করছেন।


আর্টিকেল লেখার কৌশল বা কনটেন্ট রাইটিং টিপস:

 introduction এর মাধ্যমে আমরা একটি লেখা কেমন হবে, কি নিয়ে হবে বিস্তারিত বলে দেই। introduction যত বেশি ভাল হবে আপনার পাঠকেরা ততবেশি আপনার লেখাগুলো পড়বে।

সুতরাং কন্টেন্টে introduction ব্যবহার করুন। যেমন-


1) যে বিষয়ে কনটেন্ট লেখা হবে সে বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান রাখা ।

2) প্রাঞ্জল ভাষায় কনটেন্ট লেখা।

3) সহজ ও সাবলীল ভাষায় কনটেন্ট লেখা।

4) কনটেন্ট খুব বেশি বড় করা যাবে না।

5) ছোট ছোট প্যারা করে লিখতে হবে।

6) কনটেন্ট লেখার সময় বানান যেন ভুল না হয় সে বিষয়ে সর্তকতা অবলম্বন করা।


বেস্ট কিওয়ার্ড সিলেক্ট করুন। 

এই বিষয়টি মূলত এসইও এর সাথে অনেকটা সম্পর্কিত। আপনি যেই লেখাটা লিখবেন, তার কিছু কিওয়ার্ড থাকতে হবে। যেই কিওয়ার্ড দিয়ে মানুষ ওই লেখাটা বেশি সার্চ করে। যেমন ধরুন আমি এখন লিখছি আর্টিকেল রাইটিং এর উপরে কিছু টিপস নিয়ে। এখন আমাকে খুঁজতে হবে এই ধরনের লেখা পড়তে গেলে মানুষ কিভাবে অনলাইনে বা গুগলে সার্চ করে। সেগুলো নিয়ে আমাকে এনালাইসিস করতে হবে। এরপরে ওই তথ্যের উপর নির্ভর করে আমাকে আর্টিকেল লিখতে হবে এবং ওই আর্টিকেল এর মধ্যে কিওয়ার্ড গুলো থাকতে হবে। যেমন আমি এই লেখার জন্য কিওয়ার্ড সিলেক্ট করেছি কনটেন্ট রাইটিং ।


কেন প্রয়োজন কিওয়ার্ড রিসার্চ করা?

এর কারণ হচ্ছে গুগল সরাসরি বুঝতে পারবে না আপনার লেখাটি কোন বিষয়ের। এজন্য গুগোল কিছু নিয়ম বের করে রেখেছে। যেমন প্রথমেই আপনি আপনার লেখাটি কি বিষয়ে সেই সম্পর্কে দুই-একটি কিওয়ার্ড লিখবেন। 

আপনার আর্টিকেল এর মাঝখানে কিওয়ার্ড দিবেন এবং শেষেও কিওয়ার্ড উল্লেখ করবেন। কিন্তু এখানে আপনার আর্টিকেল এর দৈর্ঘ্য অনুযায়ী কিওয়ার্ড বসাতে হবে। যেমন ধরুন আপনি আর্টিকেল লিখেছেন 500 শব্দের। কিন্তু আপনি কিওয়ার্ড বসিয়েছেন দশবার। তাহলে কিন্তু গুগোল আপনার এই লেখাকে কোনদিনও সামনে আনবে না। বরং পেছনে দিয়ে দিবে। অর্থাৎ কিওয়ার্ড দিতে হবে কিন্তু অতিরিক্ত দেওয়া যাবে না।3

কিভাবে কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য কিওয়ার্ড সিলেক্ট করব? 

এর জন্য অনেক সাইট রয়েছে তার মধ্যে:-

কনটেন্ট গবেষণা বা রিসার্চ:

আপনি একজন প্রফেশনাল ব্লগার বা আর্টিকেল রাইটার। কিন্তু এর মানে এটা নয় যে আপনি সকল বিষয়ে জানেন। একজন আর্টিকেল রাইটার এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখার প্রয়োজন হয়। তখন তাকে সে বিষয়ে গবেষণা করে লিখতে হয়। কারণ সে অনেক বিষয়ে নাও জানতে পারে এজন্য আপনাকে অন্যান্য কনটেন্টগুলো বেশি বেশি পড়তে হবে। তারা কিভাবে লিখেছে তা দেখতে হবে। কনটেন্ট গবেষণা করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে উইকিপিডিয়া। যার মধ্যে আপনি তথ্যবহুল এবং সঠিক উত্তর গুলো পেয়ে যাবেন।

ইমেজ অপটিমাইজেশন:

আপনি আপনার কনটেন্টে যেই ইমেজ ব্যবহার করবেন, তা অবশ্যই এসইও করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি অফ পেজ এবং অনপেজ দুইভাবেই এসইও করতে পারেন। অবশ্যই ইমেজ অল্টার ট্যাগ ব্যবহার করবেন। কারণ গুগোল কোনো ভাবেই বুঝতে পারবেনা আপনি কি ইমেজ ব্যবহার করেছেন। সে ক্ষেত্রে অল্টার টেক্সট এর মাধ্যমে গুগোল বুঝতে পারবে আপনার ইমেজ সম্পর্কে। ইমেজ অপটিমাইজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ র্যাঙ্কিংয়ের জন্য। মূলত ইমেজ অপটিমাইজেশন কনটেন্ট রাইটিং এর টিপস মেজর একটি বিষয়।


যদি একের অধিক ইমেজ ব্যবহার করি তখন অল্টার টেক্সট কি দিব ?


যদি আপনি একের অধিক ইমেজ ব্যবহার করেন আর প্রত্যেকটির ক্ষেত্রে একই অল্টার ট্যাগ (Altar Tag) ব্যবহার করেন তাহলে বাফারিং হতে পারে। তাই প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে একই অল্টার ট্যাগ ব্যবহার না করে synonym অল্টার ট্যাগ ব্যবহার করেন।

  •  কনটেন্ট এর টাইটেল নির্ধারণ করা।
  •  কপি রাইটিং কখনোই না।
  • টেবিল বা বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করতে পারেন:

লেখার মাঝে যদি আপনি টেবিল কিংবা বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করেন তাহলে কনটেন্ট রাইটিং হিসেবে তা হবে বেস্ট উপায়। অর্থাৎ আপনি যেকোন উপায়ে যেভাবে লিখলে পাঠকেরা পড়তে পছন্দ করবে আপনাকে সেভাবেই লিখতে হবে। গুগলও এটাই চায়।

পরিশেষে একটা খুশির খবর দেই

কনটেন্ট লিখে আয় সম্ভব ?

অবশ্যই কনটেন্ট লিখে আয় সম্ভব। আপনি অনলাইনে লেখালেখি করে আয় করার অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। এছাড়াও বাংলা কনটেন্ট রাইটিং জব রয়েছে। যদি আপনার মোবাইল ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার থাকে তাহলে আপনি ঘরে বসে হাতে লিখে আয় করতে পারেন। 

বর্তমানে বাংলা সাইট থেকে আয় করা যায়। এছাড়া আপনি বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস পেয়ে যাবেন, যেখান থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে লেখালেখি করে আয় করতে পারবেন। তাছাড়া বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সহ অনলাইন বিভিন্ন মাধ্যম আপনাকে হায়ার করতে পারে, যদি আপনি ভালো লেখালিখি করতে পারেন।

শেষ কথাঃ 

তো বন্ধুরা আমাদের এই পোস্টে আপনাকে জানানো হলো কন্টেন্ট সম্পর্কে। আপনি যদি আমাদের দেওয়া আর্টিকেল পুরোপুরি ভাবে অনুসরণ করে থাকেন। তাহলে আপনি উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নিতে পারছেন। ভালো লাগলে অব্যশই কমেন্ট করবেন । আল্লাহ হাফেজ ।

আরো পড়ুন:

cobangla
We will be happy to hear your thoughts

Leave a reply

Tech Topic Cobangla
Logo
Register New Account