Google কীভাবে কাজ করে ? How to Google works
Deal Score0
Google কীভাবে কাজ করে ?
গুগোল কি
গুগোল আসলে একটি মিডিয়া পার্টনার যা অন্যের খবরকে আপনার কাছে আর আপনার প্রশ্নকে অন্যের কাছ পর্যন্ত নিয়ে যেতে সাহায্য করে। এবং একসময় দুই প্রান্তের আমি ও যা জানতে চাই সেই তথ্য দুটোকে মিলিয়ে দেয় তাই অবশ্যই আমি গুগলকে একটি মিডিয়া হিসাবে মনে করি।
কিন্তু এটাতে আমাদের প্রশ্নের যথাযথ উত্তর পাবো না কারন প্রযুক্তিগত ভাষায় বা টেকনিক্যাল দিক থেকে গুগোল হলো একটি সার্চ ইঞ্জিন। সার্চ ইঞ্জিন হলো এমন একটি ইঞ্জিন যেখানে আমরা কিছু সার্চ করি সঙ্গে সঙ্গে সেই ইঞ্জিনটি আমাদের হয়ে কোন কিছু সার্চ করতে থাকে। গুগোল এই কাজটি করে আমাদের বিভিন্ন তথ্য কে তার কাছে দিলে সঙ্গে সঙ্গে সে খোজ শুরু করে।
যেকোন তথ্য জানতে চাইলেই হাতের কাছে রয়েছে গুগল। বর্তমানে গুগল এতটাই জনপ্রিয় যে “google” শব্দটি ডিকশনারিতেও জায়গা করে নিয়েছে! কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করলে অনেক সময় উত্তর পাওয়া যায়, “গুগল করো!” কিন্তু গুগল কীভাবে তথ্য খুঁজে বের করার কাজটি করে থাকে সেটি কি জানো?
অন্তর্জাল ব্যবহার করে কিন্তু গুগলের নাম শুনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন, তবে তথ্য অন্বেষণে কিন্তু গুগল ছাড়াও বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে যেমন- Yahoo, bing, duckduckgo ইত্যাদি। এগুলো নিজ নিজ স্বকীয়তার জন্য জনপ্রিয় এবং সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে প্রসিদ্ধ। যদিও জনপ্রিয়তার দিক থেকে বর্তমানে গুগলের আশেপাশেও নেই অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিন।
গুগল সার্চ ইঞ্জিন যেভাবে কাজ করে
কারণ আপনি জানেন গুগল সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানেন। কিন্তু কিভাবে গুগল সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জেনে যায় google.com নিজেও একটা ওয়েবসাইট। তা সত্ত্বেও এর মধ্যে আমরা সমস্ত ওয়েবসাইটের ইনফর্মেশন খুব ইজিলি পেয়ে যায়। একবারও কি আপনার মনে হয় না যে, এই গুগল কিভাবে কাজ করে কিভাবে এই গুগল সমস্ত ওয়েবসাইটের ইনফর্মেশন একত্রিত করে ?
এবং তাদের বিভিন্ন ব্যাংক দিয়ে পেজের পরপয়েজ হিসেবে সাজিয়ে রাখে যাতে আপনার সুবিধা হয়। আজকে পোস্টে আমরা জেনে নেই গুগল কিভাবে কাজ করে গুগোল একটা ওয়েবসাইট কিন্তু আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট কে সার্চ করতে হয় তাহলে আপনি গুগলে গিয়ে সার্চ করেন। তবে একটা জিনিস আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে সমস্ত ওয়েবসাইটের ইনফর্মেশন কিন্তু গুগলের কাছে থাকে না । যদি আজকে আমি একটা ওয়েবসাইট বানাই তবে সেই ওয়েবসাইট থেকে কিন্তু গুগলের মধ্যে আসতে প্রায় তিন দিন থেকে এক সপ্তাহের মত সময় লেগে যেতে পারে ।
কারন গুগল নিজের অ্যালগোরিদম করবে এবং পৃথিবীতে যত ওয়েবসাইট আছে সেগুলোতে ভিজিট করতে থাকবে । এবং তার ডেট করতে থাকবে এই প্রক্রিয়ার জন্য তার একটু সময় লেগে যেতে পারে। এই কারণে নতুন ওয়েবসাইট গুগলের রাংর্কিংয়ে আছে মোটামুটি তিন থেকে পাঁচ দিন বা এক সপ্তাহের মত সময় লেগে যেতে পারে । এবার যখন আমরা কোনো কিছু গুগলে সার্চ করব তখন যে সমস্ত ওয়েবসাইটগুলোকে কল করে রেখেছে অথবা দেখে রেখেছে ।
সেরা ক্যামেরা ফোন ২০২২
সার্চ ইঞ্জিনের ভিন্ন, ইনডেক্স তৈরির কৌশলও ভিন্ন
সার্চ ইঞ্জিনের ভাষায় এদের “স্পাইডার” বলা হয়। এরা ইন্টারনেটে যত ওয়েবসাইট রয়েছে সেগুলির প্রত্যেকটি লিংক প্রতিনিয়ত ভিজিট করে। প্রতিবার একটি সাইট ভিজিট করার সময় সাইটটির নতুন লিংকগুলি সংগ্রহ করে এবং নষ্ট বা ডেড লিঙ্কগুলো সার্ভার থেকে মুছে দেয়।
প্রথমে স্পাইডার বিভিন্ন জনপ্রিয় পেইজ থেকে শব্দ বা কি-ওয়ার্ড সংগ্রহ করে। তারপর ঐ সাইটে অন্যান্য যেসব পেইজের লিংক রয়েছে সেগুলো অনুসরণ করে। ঐসব পেজে গিয়ে সেখানে থাকা অন্যান্য লিংকও অনুসরণ করে। এভাবে প্রতিনিয়ত চলতে থাকে স্পাইডারের ভ্রমণ। স্পাইডার একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর সাইটগুলোতে ঢুকে দেখে নতুন কোন পরিবর্তন এসেছে কিনা।
যেমন টেন মিনিট স্কুল ব্লগে প্রতিদিন যে নতুন নতুন লেখা প্রকাশিত হচ্ছে তা কিন্তু কেউ গুগলের স্পাইডারকে জানায়নি। কিন্তু লেখাগুলোর শিরোনাম দিয়ে গুগলে সার্চ করলে দেখা যাবে ঠিকঠাক টেন মিনিট স্কুলের লেখাগুলোই চলে এসেছে ফলাফলে! কারণ স্পাইডার নতুন লেখাগুলোর ব্যপারে না জানলেও টেন মিনিট স্কুলকে কিন্তু ঠিকই চেনে! তাই সে প্রতিনিয়ত টেন মিনিট স্কুলের ওয়েবসাইটে ঢুকে সবগুলো লিংক অনুসরণ করে তার তথ্য ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে, আর সেই ফাঁকে এই নতুন লেখাগুলোকেও ক্রল (Crawl) করে নিয়েছে।