সৌদি আরব বিশাল সবচেয়ে বড় শহর হচ্ছে পৃথিবীর
সৌদি আরব বিশাল সবচেয়ে বড় শহর সৌদি আরব বিশাল এক শহর গড়ে তুলছে লোহিত সাগরের তীর ঘেষে মরুভূমিতে। ১০০ বিলিয়ন ডলার বা সাত লাখ ৭৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে এ শহর। যা হবে পৃথিবীর অন্যতম বড় শহর। এর আয়তন নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৯বর্গ কিলোমিটার যা ওয়াশিংটন ডিসির চেয়েও বড়।
ইতোমধ্যে শহরটির নির্মাণ কাজ সিংহ ভাগ শেষ হয়েছে। শহরটিতে থাকছে পৃথিবীর অন্যতম বড় একটি সমুদ্র বন্দর, অত্যাধুনিক রেলস্টেশন, বিশাল শিল্প এলাকা।এছাড়া স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, বিশালাকায় শপিং কমপ্লেক্স, সুরম্য মসজিদ, বিনোদন কেন্দ্র, খেলার মাঠ, পার্কসহ ধনিক শ্রেণির আধুনিক বিলাসী জীবন-যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুর সমাহার। বিশালাকায় রেলস্টেশনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ থাকবে মক্কা এবং মদিনার সৌদি আরব বিশাল সবচেয়ে বড় শহর।
স্থানটি দেখতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের হাজারো দর্শনার্থী প্রতিদিন ভীর করছেন এখানে। প্রবেশের জন্য কোনো ধরনের ফি নেওয়া না হলেও আসার আগে বিনামূল্যে গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াও এখানে রয়েছে বেশকিছু হোটেল-মোটেল। শিশুদের জন্য রয়েছে বিশেষায়িত পার্ক। ভোজন বিলাসীদের জন্য সুস্বাদু খাবারের রেস্টুরেন্টতো আছেই।অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র। ২০ লাখ মানুষ বাস করতে পারবে এ শহরে। আবাসিক এলাকায় বসবাসের জন্য নির্মাণাধীন রয়েছে লোহিত সাগরের তীর ঘেষে যে স্থানে শহরটি নির্মিত হচ্ছে সেটা দেখার মতো একটি এলাকা বটে। সাগর তীর ঘেষে বিশালাকায় আকাবাকা একটি লেক রয়েছে এখানে। লেকের তিন দিক ভূমি বেষ্টিত আর একদিকে সাগরের সঙ্গে সংযোগ সৌদি আরব বিশাল সবচেয়ে বড় শহর।
সৌদি আরবে বর্তমানে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করছে। তাছাড়া বর্তমানে সৌদি আরবের ২ লাখ ছাত্র-ছাত্রী বিদেশে পড়াশুনা করছে। এরা যখন দেশে আসবে তখন পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হবে। সবকিছু বিবেচনায় রেখে এ মহানগর নির্মাণ করা হচ্ছে। সম্প্রতি মারা যাওয়া কিং আব্দুল্লাহ এ নগরের পত্তন করেন। ২০০৫ সালে এ নগর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করে সৌদি সরকার। তাই তার নামানুসারে শহরটির নাম রাখা হয়েছে কিং আব্দুল্লাহ ইকোনমিক সিটি। এই শহর নির্মাণের কাজ শেষ হতে আরো কয়েক বছর লেগে যাবে। এ শহর নির্মিত হলে সৌদি আরব নববৈচিত্র পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
১৭০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের লাইন শহর হবে উল্লম্ব আকৃতির। লোহিত সাগরের পার থেকে যার দৈর্ঘ্য হবে ৫০০ মিটার। আর প্রস্থ হবে ২০০ মিটার। যেখানে জ্বালানি থাকবে শতভাগ নবায়নযোগ্য। ৯০ লাখ মানুষের এই শহরে থাকবে না কোনো গাড়ি বা সড়ক। উড়ন্ত যাতায়াত ব্যবস্থাই রাখা হবে শহরটির বাসিন্দাদের জন্য।
যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা দিতে পেন্ডলেটন বলেন, ‘ধরা যাক, আপনি কোনো ভবনের পঞ্চাশ তলায় থাকেন। দুই কিলোমিটার দূরে নিওম-বার্সেলোনার মধ্যে ম্যাচ হচ্ছে। আপনি সেই লড়াই উপভোগ করতে যাবেন। আপনার যাতায়াত ব্যবস্থা থাকবে দশতলার ওপরে বা নিচে সৌদি আরব বিশাল সবচেয়ে বড় শহর ।
নিওম শহর আলোর মুখ অবশ্য এখনো দেখি। তবে ফুটবল উন্নয়নের জন্য আর একটি কার্যক্রম ইতোমধ্যে হাতে নিয়েছে সৌদি সরকার। চার অঞ্চলের শুহুব প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশটির ৭-১২ বছরের ৪০০ শিশু পাবে হাই-পারফরম্যান্স প্রশিক্ষণ। নিওম শহরে ফুটবলের বাইরে আরও ক্রীড়া দেখা যাবে।সৌদি আরব বিশাল সবচেয়ে বড় শহর ২০২৯ সালে শহরের ট্রোজেনা অঞ্চলে হবে শীতকালীন এশিয়ান গেমস। আরব অঞ্চলে যেটা হবে ঐতিহাসিক ঘটনা |
লোহিত সাগরের নতুন শহরে থাকবে ৫টি ফটোভোলটাইক পাওয়ার প্লান্ট। এসব নির্মাণ করবে চীনা কোম্পানি। তাছাড়া, এনার্জি স্টোরেজ পাওয়ার স্টেশন, সাবস্টেশনসহ মাইক্রো গ্রিড সমর্থন অবকাঠামো নির্মাণ করবে চীন। এসব শহরের বিদ্যুত্ সরবরাহ নিশ্চিত করবে এবং লোহিত সাগরের নতুন শহরের জ্বালানির হৃদয় হবে সৌদি আরব বিশাল সবচেয়ে বড় শহর ।
সৌদি লোহিত সাগরের নতুন শহর প্রকল্পের সিইও বলেছেন, আমরা চীনা কোম্পানিকে বেছে নিয়েছি কারণ তাদের প্রচুর অভিজ্ঞতা আছে এবং স্থানীয় ফটোভোলটাইক বাজারে চীনা কোম্পানি উন্নত অবস্থানে রয়েছে। চীনা কোম্পানির দক্ষতা এমন বড় আকারের, দীর্ঘসময়ের ও জটিল প্রযুক্তিগত প্রকল্প নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সৌদি আরব বিশাল সবচেয়ে বড় শহর |
চীনা কোম্পানি ফটোভোলটাইক পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য একটি বুদ্ধিমান ট্র্যাকিং বন্ধনী এবং একটি স্বয়ংক্রিয় ক্লিনিং রোবট তৈরি করবে। তা ফটোভোলটাইক পাওয়ার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে সৌদি আরব বিশাল সবচেয়ে বড় শহর।
এ প্রকল্পের চীনা কোম্পানির দায়িত্বশীল ব্যক্তি বলেছেন, সৌদি আরবে দেখা দেয় বালির ঝড় এবং এখানে পানি সম্পদের অভাব রয়েছে। আমরা এমন ক্লিনিং রোবট তৈরি করলে নানা সুবিধা তৈরি হবে। যেমন: রোবটের পরিষ্কার কাজ করতে কোন পানি লাগবে না এবং রোবটে রয়েছে একটি ফটোভোলটাইক প্যানেল এবং স্টোরেজ ব্যাটারি। তাতে রোবটের ক্রমাগত কাজ নিশ্চিত করে। ভবিষ্যতে এর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জনশক্তি এবং খরচও কম হবে সৌদি আরব বিশাল সবচেয়ে বড় শহর ।
মরুভূমির পরিবেশের বিপরীতে যেখানে পাওয়ার প্ল্যান্টটি অবস্থিত তা থেকে গাড়িতে ২০ মিনিটের দূরত্বে কৃত্রিম জলাভূমি আরেকটি মনোরম দৃশ্য তৈরি করবে। এখানকার নলখাগড়াগুলো একজন মানুষের উচ্চতার সমান। শহরের পরিবেশের উন্নতির পাশাপাশি এই কৃত্রিম জলাভূমিটি পুরো শহরের গার্হস্থ্য পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাও গ্রহণ করবে সৌদি আরব বিশাল সবচেয়ে বড় শহর।
প্রকল্পের দায়িত্বশীল ব্যক্তি জানিয়েছেন, নলখাগড়া হল পয়ঃনিষ্কাশন প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় পর্যায়৷ সৌদি আরব বিশাল সবচেয়ে বড় শহর এই পর্যায়ে নলখাগড়ার শিকড় নর্দমায় জৈব পদার্থ, এবং লবণের মতো অপসারণের জন্য সম্পূর্ণ পুলের নীচে একটি জাল তৈরি করে৷ আমরা সেচ পুকুরে ভাল জল নিষ্কাশন এবং সেচের জল তৈরি করব সৌদি আরব বিশাল সবচেয়ে বড় শহর ।
চীনে তৈরি কৃত্রিম জলাভূমি প্রকল্পের প্রথম পর্যায় চালু হয়েছে এবং প্রতিদিন ৬০০০ কিউব মিটার পানি সম্পদ পুনর্ব্যবহার করতে পারে এবং পুরো প্রকল্প শেষ করার পর প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা হবে প্রতিদিন ১৬ হাজার কিউব মিটার।সৌদি আরব বিশাল সবচেয়ে বড় শহর তখন লোহিত সাগরের নতুন শহরে বাস্তবায়ন হবে সবুজ, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়ন। সৌদি আরব বিশাল সবচেয়ে বড় শহর তা চীনা নকশা, তৈরি ও নির্মাণের প্রকল্পগুলোকে সৌদি আরবের উচ্চ স্বীকৃতি এনে দিয়েছে সৌদি আরব বিশাল সবচেয়ে বড় শহর ।