গুগলে ব্লগ র‍্যাঙ্ক করার উপায়

Deal Score0
Deal Score0

 

কেন আপনার ব্লগ বা আর্টিকেল গুগল সার্চে rank হচ্ছেনা ?

আপনি কি নিজের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন এক হাজার অর্গানিক ক্লিক পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন? যদি দশ হাজার বা সম্ভবত আরও বেশি পাওয়া যায়, তবে কেমন হয়!

এই পরিমান ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব, এবং প্রচুর ওয়েবসাইট প্রতিদিন এরচেয়েও বেশি ট্রাফিক গুগল থেকে পাচ্ছে। তবে আপনিও যদি এই পরিমান ডেইলি ভিজিটর পেতে চান তবে, আপনাকে আপনার ব্লগকে গুগলের অনুসন্ধান ফলাফলগুলিতে প্রথম ১০ সার্চ রেজাল্টে র‍্যাঙ্ক করতে হবে, অর্থাৎ প্রথম পেজে নিয়ে আসতে হবে।

গুগলে র‍্যাঙ্ক করা বলতে কি বুঝায় ?


গুগলে একটি ব্লগ র‍্যাঙ্কিংয়ের অর্থ হলো কেউ যখন একটি শব্দ বা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে গুগল করে তখন অনুসন্ধানের ফলাফলগুলোর প্রথম দিকে আপনার ওয়েবসাইটকে তালিকাভুক্ত করা।

এটি বেশিরভাগ ওয়েবসাইট মালিকদের প্রধান লক্ষ্য এবং এর মাধ্যমেই আপনার সাইটে প্রচুর পরিমাণে অর্গানিক ট্র্যাফিক নিয়ে আসা সম্ভব।

যদি ব্লগটি শীর্ষ দশে র‍্যাঙ্ক না করে থাকে, তবে খুব কম লোক গুগল সার্চ রেজাল্টে আপনার আর্টিকেল বা প্রোডাক্টটি দেখতে পাবে, এবং আরো কম সংখ্যক লোক আপনার ওয়েবসাইটে ক্লিক করবে।

পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম পৃষ্ঠার পরের রেজাল্টগুলো এক শতাংশের নীচে ক্লিক পায়। সুতরাং, ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি করতে শীর্ষ ১০ সার্চ রেজাল্টে (যা প্রথম পৃষ্ঠায় প্রদর্শিত হবে) র‍্যাঙ্কিং আবশ্যক।

রিলেভেন্ট কীওয়ার্ড নির্বাচন করুন

সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইট র‌্যাঙ্ক করার লক্ষ্য প্রতিটি মার্কেটারের স্বপ্ন। কিন্তু, কাজটি সম্পন্ন করতে, আমাদের অনেক প্রচেষ্টার প্রয়োজন। যাইহোক, সঠিক কীওয়ার্ড বাছাই করা এবং নির্দিষ্ট দর্শকদের টার্গেট করা আপনার ওয়েবসাইট র‌্যাঙ্কিং করার প্রধান টিপস। সেই সাথে, ভাল ভাবে অপ্টিমাইজ করা কনটেন্ট তৈরি করলে আপনার ওয়েবসাইটকে র‌্যাঙ্কিংকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গতি ত্বরান্বিত করবে ।

  • আপনার ওয়েবসাইটটি আপনার ধারণার চেয়ে অনেক তাড়াতাড়ি র‌্যাঙ্কিং করতে পারে, শুধুমাত্র যদি আপনি নীচে উল্লিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করেন:
  • প্রথমে আপনার বিষয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক কীওয়াhgggggর্ডগুলির একটি তালিকা তৈরি করুন।
  • আপনার প্রতিযোগীরা যে কীওয়ার্ডগুলির জন্য র‌্যাঙ্কিং করছে তার একটি তালিকা তৈরী করুন।  
  • কমিটিশন কম এবং বেশি সার্চ ভলিউম সহ কীওয়ার্ড বাছাই করতে গুগলের কীওয়ার্ড প্ল্যানারের মতো টুলসগুলো ব্যবহার করুন। 
  • আইডিয়াগুলোকে একটু ব্রেইনস্টর্মিং করতে শিখুন এবং ল্যাটেন্ট সিমেন্টিক ইনডেক্স (LSI) কীওয়ার্ডগুলো শনাক্ত করুন। 
  • বিভিন্ন কম্যুউনিটিতে যুক্ত হন (যেমন Reddit, Quora) ইত্যাদি, যেখানে দর্শকরা নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রশ্ন করে এবং সে বিষয় সম্পর্কে জানতে চায়।
  • এসইও ইন্ডাস্ট্রির সাথে সব সময়  লেগে থাকুন এবং লেটেস্ট আপডেটগুলো জানুন। এটি আপনাকে নতুন নতুন জার্গন এবং নতুন নতুন কোয়েরি সম্পর্কে ধারণা দিবে।

কোয়ালিটি সম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করুন

প্রথমেই আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারেন ভালো মানের কনটেন্ট কি? সহজ কথায় যদি আমরা বলি তাহলে বলবো-


  • কোয়ালিটি কনটেন্ট মার্কেটিং এর প্রতিটি লক্ষ্য পূরণ করে
  • ব্র্যান্ড এওয়ার্নেস, CTR, কোয়ালিটি লিড এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে আস্থা অর্জন করে
  • কনটেন্ট মার্কেটিং ইনস্টিটিউট এর তথ্য মোতাবেক বড় কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৮৮% কনটেন্ট মার্কেটিং কে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।
  • কনটেন্ট মার্কেটিং এ সাধারণত বিভিন্ন ব্লগপোস্ট, নিউজলেটার, ওয়েবিনার, ভিডিও ইত্যাদি বিষয়গুলো জড়িত থাকে।
  • ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করার সময় নিচে কিছু দরকারী টিপস তালিকাভুক্ত করেছি:
  • আপনার নির্বাচিত কীওয়ার্ড নিয়ে গবেষণা করুন
  • ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে এমন কনটেন্ট তৈরি করুন
  • আপনার অডিয়েন্স এর কাছে আপনার কনটেন্ট সহজভাবে উপস্থাপন করুন
  • কনটেন্ট উপস্থাপনার ধারাবাহিকতা মেনে চলুন
  • কনটেন্ট এর প্রতি বিশ্বাস বাড়াতে আপনার পোস্টে বা ব্লগে রেফারেন্স প্রদান করুন
  • সব সময় হোয়াইট হ্যাট এসইও এর নিয়ম মেনে চলুন কারণ এটি র‌্যাঙ্কিংয়ে সহায়তা করে

নোট: হোয়াইট হ্যাট এসইও গুগলে আপনার র‌্যাঙ্কি করতে সার্চ ইঞ্জিনের সকল নিয়ম ও নীতি অনুসরণ করে, ফলে ওয়েবসাইট পেনাল্টি খাওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না।

কনটেন্ট কে সাবলীল ও ভিন্নভাবে প্রেজেনটেশন করুন, যাতে অডিয়েন্স এর মনোযোগ ঠিক থাকে। এর জন্য আপনি নীচে প্রদত্ত অনুশীলন গুলো করতে পারেন।

  • আপনার ব্লগ পোস্টে ইনফোগ্রাফিক যুক্ত করুন
  • আপনার পোস্টে ভিডিও এবং ছবি অন্তর্ভুক্ত করুন
  • আপনার বিষয়বস্তু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করুন

এক্ষেত্রে মাথায় রাখবেন, গুগল যখন বুঝতে পারবে একজন পাঠক আপনার ওয়েবসাইটে দীর্ঘ সময়ের ধরে আপনার ওয়েবসাইটে সময় কাটাচ্ছে তাহলে গুগল আপনার ওয়েবসাইটকে অটো র‌্যাঙ্ক করাবে। তাই ব্যবহারকারীর মনোযোগ বাড়াতে দীর্ঘ এবং আকর্ষণীয় কনটেন্ট তৈরি করুন।


ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করার নিচের ধাপগুলো মাথায় রেখে করুন:


  • প্রত্যেকটি কনটেন্ট কে একটি ভালো ভূমিকা দিয়ে শুরু করুন
  • কনটেন্ট লেখার সময় নির্বাচিত কীওয়ার্ডের সাথে প্রাসঙ্গিকতা রেখে কনটেন্ট লিখুন
  • আপনার কনটেন্টে আকর্ষণীয় একটি শিরোনাম দিন এবং আপনার কনটেন্টে LSI কীওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করুন
  • হেডিং এবং সাব-হেডিং এ  কীওয়ার্ড এর ভেরিয়েন্ট তৈরী করুন
  • কনটেন্টে আপনার বাক্য এবং অনুচ্ছেদ ছোট রাখুন
  • নির্দির্ষ্ট পয়েন্ট থাকলে সেগুলোকে বুলেট পয়েন্টে উপস্থাপন করুন
  • ইন্টারনাল লিঙ্ক ইন্সার্ট করুন
  • কনটেন্ট ইমেজ ব্যবহার করলে অবশ্যই অল্টার ট্যাগ ব্যবহার করুন
  • কনটেন্ট এর মধ্যে ইউজার কলআউট বা অ্যাকশন নিতে পারে এমন কথা অন্তর্ভুক্ত করুন
  • আপনার বিষয়বস্তু নিয়মিত আপডেট করুন

Google আপনার ওয়েবসাইট সঠিক ভাবে crawl করতে হবে ?

অনেক সময় বিভিন্ন crawling errors এবং issues এর জন্য গুগল আমাদের ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি পেজ বা কনটেন্ট crawl করতে পারেনা।

আর, যখন Google bots আমাদের ওয়েবসাইট সঠিক ভাবে crawl করবেনা, তখন ওয়েবসাইটের pages গুলো index হবেনা আর ফলে সেই page গুলো গুগল সার্চে rank হবেনা।

তাই, নিজের website এর সাথে সংযুক্ত Google search console account এর মধ্যে গিয়ে “Index >> Coverage” ট্যাবে click করুন।

যদি কোনো সমস্যার জন্য আপনার ওয়েবসাইট গুগল দ্বারা ক্রল করা হচ্ছেনা, তাহলে লাল রঙের “error” দেখানো হবে।

তাছাড়া, কেন গুগল আপনার ওয়েবসাইট বা ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট পেজ গুলোকে crawl করতে পারছেনা, সেই বিষয়েও সেখানে বলা হবে।


Robots.txt file এর ওপর নজর দিন।

  • আমাদের প্রত্যেকের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের একটি robots.txt ফাইল রয়েছে। নিজের ওয়েবসাইটের এই রোবট ফাইল চেক করার জন্য ব্রাউজারে “.info/robots.txt” টাইপ করুন।
  • এই রোবট ফাইল এর কাজ হলো Google বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন কে নির্দেশ দেওয়া বা বলা যে, সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের কোন page গুলোকে crawl করতে হবে এবং কোন গুলোকে করতে হবেনা।
  • যদি যেকোনো ভুলের কারণে, আপনি আপনার ওয়েবসাইটের robots.txt ফাইল টিকে উল্টো পাল্টো করে এডিট করে দিয়েছেন, তাহলেও কিন্তু গুগল আপনার সাইট crawl ও index করতে পারবেনা।
  • সুনিশ্চিত করুন যে আপনার robots.txt ফাইল গুগল বোট (google bots) গুলোকে ব্লক করছেনা।

ওয়েবসাইটের bounce rate কম থাকলে 

দেখুন, যখন আমাদের আর্টিকেল গুলো ভিসিটর্স রা পড়েন, তখন যদি সেটা কাজের আর্টিকেল হয়ে থাকে, তাহলে ভিসিটর্সরা অনেক সময় নিয়ে সেই আর্টিকেল পড়বেন।

কিন্তু, যদি আমাদের আর্টিকেল ভিসিটর্স দেড় প্রশ্নের সঠিক উত্তর বা সমাধান দিতে পারছেনা বা ইউসার এর প্রশ্নের সাথে প্রাসঙ্গিকতা (relevancy) নেই,

তাহলে ভিসিটর্স রা অনেক তাড়াতাড়ি আপনার ওয়েবসাইট ছেড়ে অন্য ওয়েবসাইটে চলে যাবেন।

এবং, ইউসার বা ভিসিটর এর এই ব্যবহারের ওপর নজর রেখেই গুগল যেকোনো keyword, key term বা search quarry সাথে আপনার কনটেন্ট বা আর্টিকেলের প্রাসঙ্গিকতার (relevancy) অনুমান করে।

ফলে, যদি আপনার ব্লগে আসা user বা visitors অনেক সময় নিয়ে আপনার আর্টিকেল বা কনটেন্ট পড়ছেন,তাহলে সেই আর্টিকেল গুগলের নজরে উচ্চমানের এবং high quality.

আর তাই, আপনার article page টিকে গুগল তার search result page এর মধ্যে প্রথমেই র্যাংক (rank) করবে।


এর বিপরীতেই,

  • যদি আপনার ব্লগের article page বা web page এ আসা visitors রা কেবল কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই আর্টিকেল না পড়ে return চলে যাচ্ছেন,
  • তাহলে সেই আর্টিকেল গুগলের নজরে low quality বা irrelevant content.
  • যখন visitors রা অনেক সময় লাগিয়ে আমাদের কনটেন্ট পড়েন, তখন সেই পেজের bounce rate কমে আসে।
  • যখন visitors রা কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই আর্টিকেল না পড়েই return চলে যায়, তখন সেই আর্টিকেল পেজের bounce rate বৃদ্ধি পায়।
  • তাই, গুগল থেকে নিজের টার্গেট করা কীওয়ার্ড গুলোর থেকে ট্রাফিক পাওয়ার জন্যে,
  • নিজের আর্টিকেল পেজ গুলোর bounce rate কমেও ৬০% রাখার চেষ্টা করবেন।
  • আপনারা, Google analytics এর মাধ্যমে নিজের ওয়েবসাইট এবং web page গুলোর bounce rate দেখে নিতে পারবেন।

শেষ কথা 

বিল গেটস ১৯৯৬ সালে বলেছিলেন “কনটেন্ট ইজ কিং” এবং অনলাইনে আমরা যা কিছু দেখি তা সবই কনটেন্ট।  আপনি যদি কোয়ালিটি কনটেন্ট প্রোভাইড করতে পারেন এবং যদি সেটা গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করে তাহলে গুগলে আপনি অবশ্যই র‍্যাঙ্ক করতে পারবেন।
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না ।

আরো পড়ুন:


cobangla
We will be happy to hear your thoughts

Leave a reply

Tech Topic Cobangla
Logo
Register New Account