ব্লগ রাইটিং কি ? কত প্রকার ও কি ? কি ?

Deal Score0
Deal Score0

 

কন্টেন্ট রাইটিং

কন্টেন্ট রাইটিং কি ? কত প্রকার ও কি কি ?

কন্টেন্ট রাইটিং হলো পেশাদার মার্কেটিং এর জন্য এক ধরনের কন্টেন্ট  তৈরি করার কাজ যা নির্দিষ্ট অনলাইন বা অফলাইন পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হয়। কন্টেন্ট রাইটিং অনেকের কাছে আর্টিকেল রাইটিং নামেও পরিচিত।

কন্টেন্ট রাইটিং প্রায় সকলের কাছে পরিচিত শব্দ হলেও অনেকেই আমরা কন্টেন্ট রাইটিং কি সেসম্পর্কে বিস্তারিতভাবে খুব কমই জানি। তবে কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করার উপায় তৈরি হওয়ার পর থেকে মানুষ এসম্পর্কে জানতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

কখনো কি কেউ চিন্তা করেছিল যে বই প্রকাশ না করে বিভিন্ন ছোট ছোট কন্টেন্ট লিখেও আয় করা সম্ভব হবে? মনে হয় না। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে তত বেশি বদলে যাচ্ছে পৃথিবী, বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবনভঙ্গী এবং সেইসাথে কাজের বিস্তৃতি।

বর্তমানের স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, কর্মজীবী মানুষ সবাই এখন কাজের পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে চায়। আর তাদের জন্য চমৎকার একটি কাজ হলো কন্টেন্ট রাইটিং।

তাই কন্টেন্ট রাইটিং এ ক্যারিয়ার যারা গড়তে চান তাদের জন্যই আজকের গাইডলাইন, যেখানে কন্টেন্ট রাইটিং কি, কিভাবে কন্টেন্ট রাইটার হওয়া যায়, রাইটার এর কাজ, যোগ্যতা, প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করার উপায় সহ প্রয়োজনীয় সকল তথ্য নিয়ে আলোচনা করবো ইন-শা-আল্লাহ।

কন্টেন্ট কি ?

কন্টেন্ট হলো তথ্য, ধারণা এবং বার্তাগুলোর একটি সংকলন যা লিখিত, ভিজ্যুয়াল কিংবা শ্রবণযোগ্য ফরম্যাটে তৈরি করা হয়।


কন্টেন্ট মূলত ৪ ধরনের:


১. অডিও কন্টেন্ট: ভয়েস রেকর্ডের মাধ্যমে যে কন্টেন্ট তৈরি করা হয় তাকে অডিও কন্টেন্ট বলে। উদাহরণ: রেডিও, পডকাস্ট, এফএম, ইত্যাদি।


২. ভিডিও কন্টেন্ট: ভিডিও ধারণ করে কোন নির্দিষ্ট টার্গেট অডিয়েন্সের জন্য তৈরি করা কন্টেন্টকে ভিডিও কন্টেন্ট বলে। যেমন: MP4, MKV ফরম্যাটের ফাইল।


৩. লিখিত কন্টেন্ট : পঠনযোগ্য আকারে নির্দিষ্ট টার্গেট পাঠকের জন্য প্রকাশিত কন্টেন্টকে লিখিত কন্টেন্ট বা Text Content বলে। যেমন: বই, ব্লগ, সংবাদপত্র, চিঠি, ইত্যাদি।


৪. ইমেজ কন্টেন্ট: বর্তমানে ছবিকেও (Image) কন্টেন্ট হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।


সহজভাবে বললে, আপনি এখন যে লেখাটি পড়ছেন সেটিই মূলত লিখিত কন্টেন্ট। অন্যদিকে ইন্টারনেট জুড়ে কোটি কোটি ফটো রয়েছে, যেগুলোকে বলা হয় ইমেজ কন্টেন্ট। ইউটিউব প্লাটফর্মে যেসব ভিডিও দেখি সেসবই ভিডিও কন্টেন্ট। এবং একইভাবে গান এক ধরনের অডিও কন্টেন্ট।


কন্টেন্ট রাইটিং কি ?

কন্টেন্ট রাইটিং হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা, রচনা ও ওয়েব কন্টেন্ট সম্পাদনার প্রক্রিয়া।

সহজ কথায়, কন্টেন্ট রাইটিং হলো অর্থপূর্ণ, সহায়ক, এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ বার্তাগুলোর মাধ্যমে পাঠকদের পদক্ষেপ নিতে ইনফ্লুয়েন্স করা।

যদিও বেশিরভাগ লোকজন কন্টেন্ট রাইটিং বলতে আর্টিকেল রাইটিং বুঝে থাকেন। তবে ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল, ভিডিও স্ক্রিপ্ট, পডকাস্ট কিংবা অন্য কোনো প্লাটফরম যেমন টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের জন্য তৈরি কন্টেন্টও কন্টেন্ট রাইটিং এর অন্তর্ভুক্ত।

প্রকৃতপক্ষে, কন্টেন্ট রাইটিং সকল ধরণের কন্টেন্ট ফর্ম্যাটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যেমন:


  • ভিডিও স্ক্রিপ্ট
  • ইমেল নিউজলেটার
  • মূল বক্তব্য
  • সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট
  • পডকাস্ট
  • ওয়েব কন্টেন্ট
  • ল্যান্ডিং পেজ
  • ইউটিউব ভিডিও ডেস্ক্রিপশান

কন্টেন্ট রাইটিং কত প্রকার ?

মিডিয়ার উপর ভিত্তি করে কন্টেন্ট রাইটিংকে প্রধাণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়:


  • অফলাইন কন্টেন্ট রাইটিং, এবং
  • অনলাইন কন্টেন্ট রাইটিং

অফলাইন কন্টেন্ট রাইটিং

যখন কোনো পত্রিকা কিংবা ম্যাগাজিনে আর্টিকেল লিখবেন বা বই লিখবেন সেটা হবে অফলাইন কন্টেন্ট রাইটিং। এই রাইটিং করতে কোনো প্রকার ইন্টারনেট কিংবা অন্য কিছুর প্রয়োজন নেই। কেবল মাত্র খাতায় লিখে কোম্পানির কাছে পাঠিয়ে দিবেন, তারা আপনার লেখাকে প্রকাশ করবে।


অনলাইন কন্টেন্ট রাইটিং

অনলাইন প্লাটফর্মে প্রকাশিত কন্টেন্ট যা ইন্টারনেট ব্রাউজ করে দেখা, পড়া কিংবা শোনা যায়, সেসব কন্টেন্ট রাইটিংকে অনলাইন কন্টেন্ট রাইটিং বলা হয়।

ব্লগিং এর বদৌলতে বর্তমানে অনলাইন প্লাটফর্মগুলোতে লেখা প্রকাশ করা বেশ সহজ হয়েছে। তাছাড়া অফলাইন নির্ভর কোম্পানিগুলোও অনলাইনে আসায় দিন দিন এই মাধ্যমই বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

কন্টেন্ট এর ব্যবহারের উপর আবার অনেকভাবে বিভক্ত করা যেতে পারে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১২ ‍ধরনের কন্টেন্ট রাইটিং হলো:


  • ব্লগ রাইটিং
  • অ্যাফিলিয়েট কন্টেন্ট রাইটিং
  • ই-বুক রাইটিং
  • টেকনিক্যাল কন্টেন্ট রাইটিং
  • প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটিং
  • একাডেমিক কন্টেন্ট রাইটিং
  • প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশান রাইটিং
  • নিউজ কন্টেন্ট রাইটিং
  • স্ক্রিপ রাইটিং
  • ট্রান্সলেশন
  • ট্রান্সক্রিপশন: অডিও ও ভিডিও থেকে টেক্সট রাইটিং
  • কোন বই বা হার্ড কপি থেকে সফট কপি রাইটিং

কন্টেন্ট রাইটার এর কাজ কি?

একজন কন্টেন্ট রাইটার হলেন একজন পেশাদার লেখক যিনি কোন ব্র্যান্ড এর পণ্য বিক্রিতে সহায়তা করার জন্য তথ্যপূর্ণ এবং আকর্ষক আর্টিকেল বা কন্টেন্ট লেখেন।

একজন কন্টেন্ট রাইটার সম্ভাব্য সবচেয়ে ভালো লিখিত কিংবা ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট (ব্লগ রাইটিং থেকে শুরু করে প্রেস রিলিজ) তৈরি করার চেষ্টা করেন।

স্বাভাবিকভাবেই কন্টেন্ট রাইটার এর প্রথম কাজ লেখালেখি করা। তবে, যেহেতু কন্টেন্ট বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, তাই কন্টেন্ট রাইটারদের কাজেও কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।

কন্টেন্ট রাইটিং টপিক


এতক্ষণ ধরে আমি কন্টেন্ট রাইটিং কি সেটা সম্পর্কে বুঝিয়ে বলেছি। এর পাশাপাশি আপনি কোন বিষয়ে কন্টেন্ট লিখতে পারবেন। সে সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি। তবে এখন হয়তোবা অনেকেই ভাবছেন যে, কন্টেন্ট রাইটিং টপিক কোথায় পাবো। আর এই প্রশ্নের উত্তরে আমি আপনাকে বলব যে। 

সমুদ্রের মধ্যে যে পরিমাণ জল রয়েছে। ঠিক একই পরিমাণ কনটেন্ট রাইটিং এর টপিক রয়েছে। আর আপনি চাইলে যে কোনো ধরনের টপিক সম্পর্কে কনটেন্ট লিখতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার কোন ধরনের বাধ্যবাধকতা থাকবে না। তবে প্রশ্ন এখানে থেকেই যাচ্ছে যে, একজন মানুষ চাইলেই কি যে কোন টপিক এর কনটেন্ট লিখলেই সফলতা পাবে। এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব, না। যে কোন টপিকে কন্টেন্ট লিখলে সফলতা পাওয়া সম্ভব না।

বরং আপনাকে এমন সব বিষয়ের উপর কন্টেন্ট লিখতে হবে। যে বিষয় গুলো সম্পর্কে মানুষ জানতে চায়। যেমন ধরুন, আপনি এমন একটি টপিক সম্পর্কে কন্টেন্ট লিখলেন। যেটি টপিক নিয়ে মানুষের কোন প্রকারের জানার আগ্রহ নেই। তাহলে কিন্তু মানুষ আপনার লেখা কন্টেন টি আর পড়বে না। তাই আপনাকে এমন টপিকে কনটেন্ট লিখতে হবে। যে কনটেন্ট এর মধ্যে মানুষ উপকৃত হতে পারে। 

এবং মানুষ যেন নতুন কিছু জানতে পারে। আর মানুষ আসলে কোন বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে চায়। সেটি আপনি বিভিন্ন প্রকারের টুলস থেকে জেনে নিতে পারবেন। আর এই ধরনের বিভিন্ন প্রকারের টুলস থেকে যখন আপনি উক্ত টপিক গুলো খুঁজে নিতে পারবেন। তখন যদি আপনি সেই টপিক নিয়ে কন্টেন্ট লিখেন। সে ক্ষেত্রে আপনার কনটেন্ট গুলো পড়ার মতো অনেক পাঠক পাবেন।

আরো পড়ুন:

cobangla
We will be happy to hear your thoughts

Leave a reply

Tech Topic Cobangla
Logo
Register New Account