সেরা ফটো এডিট অ্যাপ ২০২২

Deal Score0
Deal Score0

সেরা ফটো এডিট অ্যাপ ২০২২ | Best photo editing apps 2022

আপনার ফোনে হয়তো সবথেকে সেরা ক্যামেরা টি রয়েছে, কিন্তু তারপরেও আপনি ভালো ছবি তুলতে পারছেন না। অন্যদিকে আপনার বন্ধুর ক্যামেরার কোয়ালিটি অতটা ভালো না হলেও অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি তুলছে সেই ক্যামেরা দিয়ে।


কারণ কি? এর কারণ হলো আপনার বন্ধু ছবিটি তোলার পরে তাই একটু এডিটিং করে নেয়। আজকের পোস্টটি তে আমরা আলোচনা করব, মোবাইলের পাঁচটি ফটো এডিটিং অ্যাপ নিয়ে। যার মাধ্যমে আপনি প্রফেশনালি ফটো এডিটিং করতে পারবেন।


1. CANVA – Best Image Editing Software


ক্যানভা অনলাইন ফটো এডিটর টুল এর জন্য বিখ্যাত। Canva’র মোবাইল অ্যাপটিও গ্ৰাফিক ডিজাইন এর জন্য অসাধারন একটি সফটওয়্যার। কিন্তু এর মধ্যে বাকি ফিচার ও রয়েছে যেমন photo grid design, logo design, বিভিন্ন ফিল্টার এবং effect ও রয়েছে।


৫০০+ ফন্ট রয়েছে তা আপনি নিজের ছবিতে ব্যবহার করতে পারবেন। CANVA তে আপনি বিনামূল্যে অনেক ফিচার পাচ্ছেন তা আসলেও লাভজনক। এছাড়া ক্যানভা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারগুলোর মাঝেও অন্যতম। সুতরাং, ক্যানভা থাকলে আপনাকে ভিডিওর জন্য আলাদা কোন অ্যাপ ইন্সটল করতে হবেনা।

অ্যাপ টি আপনি চাইলে ব্রাউজার অথবা প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করেও ব্যবহার করতে পারবেন।


অ্যাপটি সম্পর্কে কিছু কথা,,

  • ফটো ফিল্টার
  • ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভার
  • ট্রান্সপারেন্ট ছবি তৈরি
  • লোগো তৈরি
  • 500+ ফন্ট – কার্ভড, গ্লিচ ইফেক্ট, নিয়ন টেক্সট স্টাইল ইত্যাদি।


2. Photoshop- Express Photo Editor

Adobe Photoshop কে ছবি এডিটিং এর রাজা বলা হয়। ছবি এডিটিং এর সেরা সফটওয়্যার এর মধ্যে Adobe Photoshop অন্যতম।


অ্যাপটির মধ্যে রয়েছে আধুনিক ছবি এডিটিং টুল, photo effects, এবং ফিল্টার ।অ্যাপটিতে আপনি পাচ্ছেন স্টিকার মেকার, color gradient, pic collage সহ আরো অনেক ফিচার।


এটি একটি পেইড অ্যাপ, আপনাকে অ্যাপটির ফিচার কিনে ব্যবহার করতে বে। আপনি চাইলে প্রথমে অ্যাপটি ফ্রিতে trial দিয়ে দেখতে পারেন।


    অ্যাপটি সম্পর্কে কিছু কথা,,

    • আঁকাবাঁকা ছবির ক্যামেরা কোণ ঠিক করা
    • ব্লার প্রয়োগ
    • মিমস এবং ক্যাপশন তৈরি
    • ফ্রেম যোগ করা এবং
    • কাস্টম ওয়াটারমার্কের সাথে স্ট্যাম্প তৈরি।


    3. PICSART – Image beautification software


    জনপ্রিয় ছবি সাজানোর সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে PicsArt. অ্যাপটি ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ। PicsArt এর মধ্যে প্রচুর ফিচার রয়েছে যার মাঝে হচ্ছে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ এবং পরিবর্তন, অসখ্য ফিল্টার, ফ্রেম, প্রি ব্যাকগ্রাউন্ড ফটো, double exposures, 100+ ফন্ট, ইত্যাদি।


    অ্যাপটির পেইড ভার্সনও রয়েছে তবে ফ্রি ভার্সন দিয়েই ম্যাক্সিমাম ফিচার ব্যবহার করা যায়।


    • জনপ্রিয় ফটো ইফেক্টের জন্য ট্রেন্ডিং ফিল্টার
    • ব্যাকগ্রাউন্ড ইরেজার
    • অবাঞ্ছিত বস্তু মুছে ফেলা যাবে
    • 200+ ডিজাইন ফন্ট
    • হেয়ার কালার চেঞ্জার, মেকআপ স্টিকার
    • AI-চালিত স্মার্ট সিলেকশন টুল দিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করা
    • দ্রুত ফ্লিপ এবং ফটো ক্রপিং
    • ছবিতে স্টিকার যোগ করা এবং
    • নিজস্ব স্টিকার তৈরি করার সুযোগ।

    4. SNAPSEED

    Snapseed ছবি এডিটিং ও ছবি সাজানোর জন্য জনপ্রিয় সফটওয়্যার। এই অ্যাপটি আপনি ফোনে সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। এটি প্রায় সব ধরণের কাজে ব্যবহার করা যায় এমন একটি ফটো এডিটর অ্যাপ।এই অ্যাপ এর মধ্যে অনেকগুলো এডভান্স লেভেলে ছবি এডিটিং টুলস এবং ফিচার রয়েছে।

    অ্যাপটিতে অনেকগুলো ফিল্টার আছে, তার মধ্যে ভিনটেজ স্টাইল, মর্ডান HDR তো আছেই।এই ফিল্টার এবং ইফেক্ট এর মাধ্যমে যেকোনো ছবি নতুন লুক দিতে পারে।

    সবথেকে অবাক করা করা হচ্ছে, অ্যাপটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন।

    অ্যাপটি সম্পর্কে কিছু কথা,,

      • 29টি টুল এবং ফিল্টার ফিল্টার ব্রাশ ফ্রেম – সামঞ্জস্যযোগ্য আকারের সাথে ফ্রেম যুক্ত করুন
      • ডাবল এক্সপোজার
      • ত্বক মসৃণ করুন
      • ত্রিমাত্রিক মডেলের উপর ভিত্তি করে মুখের ভঙ্গি সংশোধন করুন

          5. Pixel editor


      গুগল প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করা অধিক জনপ্রিয় ছবি সাজানোর সফটওয়্যারগুলোর মাঝে পিক্সেল আর একটি। সফটওয়্যারটিতে ছবি এডিট করার পাশাপাশি গ্ৰাফিক ডিজাইন তৈরি করার জন্যও বিভিন্ন ফিচার রয়েছে।

      Pixlr এর ২টি সংস্করণ রয়েছে। একটি হচ্ছে Pixlr X এবং অন্যটি Pixlr E । বিনামূল্যে হলেও কিছু ফিচার রয়েছে যা কিনতে হবে।


        অ্যাপটি সম্পর্কে কিছু কথা,,

          • বিভিন্ন প্রিসেট কোলাজ, গ্রিড স্টাইল, কাস্টমাইজড রেশিও এবং ব্যাকগ্রাউন্ড সহ সহজেই ফটো কোলাজ তৈরি
          • অটো ফিক্স ব্যবহার করে একটি সহজ ক্লিকে অবিলম্বে ছবির রঙ সামঞ্জস্য করা
          • স্টাইলাইজ (পেন্সিল স্কেচ, পোস্টার, জলরঙ এবং আরও অনেক কিছু) ব্যবহার করে দুর্দান্ত ফটো ইফেক্ট তৈরি
          • অনায়াসে দাগ মুছে ফেলে, চোখ লাল করা, ত্বক মসৃণ করা বা সাধারণ টুল দিয়ে দাঁত সাদা করা যায়

          6. DXO Photolab

          এটি মূলত কম্পিউটারে ছবি সাজানো সফটওয়্যার, যারা ফটোশপের জটিলতার জন্য বুঝে উঠতে পারছেন না, তাদের জন্য এই অ্যাপটি বেস্ট অপশন হতে পারে। সফটওয়্যারটির মধ্যে lightroom এবং Photoshop এর মতো সব ফিচারই রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় ও আধুনিক tools বিদ্যমান সফটওয়্যারটিতে। এই অ্যাপ দিয়ে বিভিন্ন banner তৈরি করা যায় তবে, এটি গ্ৰাফিক ডিজাইন কাজের জন্য উপযুক্ত নয়।


          সফটওয়্যারটি পেইড এবং এর ফিচার গুলোর মূল্য একটু বেশীই। তবুও সেরা মানের এডিট করা ছবি পেতে চাইলে এটিই সেরা। বলে না, জিনিস যেটা‌ ভালো দাম তার একটু বেশীই।


            অ্যাপটি সম্পর্কে কিছু কথা,,

              • কাস্টমাইজযোগ্য ইন্টারফেস
              • অপটিক্যাল মডিউল
              • কালার বিন্যাস
              • স্মার্ট লাইট
              • 30 দিনের জন্য বিনামূল্যে ট্রায়াল

              শেষ কথা,,
              নতুন, অন্তর্নির্মিত ইন্টারেক্টিভ টিউটোরিয়ালগুলি এই প্রোগ্রামটিকে ব্যবহার করা খুব সহজ করে তোলে, বিশেষ করে যদি আপনি ইতিমধ্যেই জানেন যে আপনি আপনার সমাপ্ত ফটোটি কেমন দেখতে চান। পোর্ট্রেটপ্রো আপনার অগ্রগতি সংরক্ষণ করে যখন আপনি এই টিউটোরিয়ালগুলির মাধ্যমে কাজ করেন, তাই আপনি সর্বদা জানেন কীভাবে আপনার ফটো সম্পাদনার দক্ষতা উন্নত হচ্ছে!

              আরো পড়ুন:

              1. আই ফোন সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত কোনো 
              2. প্রসেসর কি 
              3. বাংলাদেশে dslr ক্যামেরার দাম 
              4. সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?
              5. বিশ্বের সেরা 11টি জনপ্রিয় অনলাইন মোবাইল গেম
              6. নতুন গেমিং ল্যাপটপ 2022
              7. নতুন গেমিং পিসি 2022 |
              8. ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দামের মধ্যে ভালো ফোন 
              9. কম্পিউটার ভাইরাস কি ? কম্পিউটারে ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি ?
              10. 10000-এর নীচে সেরা ফোন 

              cobangla
              We will be happy to hear your thoughts

              Leave a reply

              Tech Topic Cobangla
              Logo
              Register New Account