ইনফরমেটিভ আর্টিকেল কি ? ইনফরমেটিভ আর্টিকেল কিভাবে লিখতে হয় ?
ইনফরমেটিভ আর্টিকেল কি ? ইনফরমেটিভ আর্টিকেল কিভাবে লিখতে হয় ?
ইনফরমেটিভ আর্টিকেল কি ?
যে আর্টিকেল গুলোতে কোন কিছুর ব্যাপারে বা কোন জায়গার ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য নির্ভুলভাবে প্রকাশ করানো হয় সেই আর্টিকেল গুলোকেই বলা হয় ইনফরমেটিভ কনটেন্ট।
আজকাল ইনফরমেটিভ কনটেন্ট গুলোর সাথে আমরা সকলেই বেশ ভালোভাবে পরিচিত। এখন চলছে ডিজিটাল যুগ। কমবেশি সবাই ই নিজের কাজ গুলো অনলাইনের মাধ্যমেই সেড়ে ফেলতে চায়। অনলাইনে টিকিট বুকিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিস কেনা-কেটা করা পর্যন্ত সব জিনিসই যেন এখন ইন্টারনেট জগতে বন্দী হয়ে গিয়েছে। ঘরে বসেই সকলে এখন সবকিছু পেতে চায়।
কিছু হলেই সার্চ করতে চলে যায় গুগলে, পড়া বা দেখা শুরু করে বিভিন্ন ব্লগ বা আর্টিকেল। আমরা এমন যুগ পার করে এসেছি যেই যুগে ঘরে বসেই নিজের চাহিদা মত সবকিছু পাওয়া যেত না কিন্তু এখন যুগের অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
সবকিছু ধীরে ধীরে ডেভলপ হচ্ছে। ধরুন আপনি এখন ফ্যান্টাসি কিংডম ঘুরতে যেতে চান। কিন্তু ফ্যান্টাসি কিংডমের টিকিট প্রাইস, সেখানে কিভাবে যেতে হয়, ওখানের পরিবেশ কেমন সেই সম্বন্ধে আপনার কোন আইডিয়া নেই।
এখন কি আপনি ওখানে যেয়ে এসব রিচার্জ করবেন নাকি? তাই আজকাল এইসব তথ্য ঘরে বসেই পাওয়া যায় বিভিন্ন ব্লগ এবং আর্টিকেলস গুলোতে। এইসব আর্টিকেল কেই বলা হয় ইনফরমেটিভ আর্টিকেল কারণ এসব আর্টিকেল দ্বারাই আপনি জানতে পারছেন যে ওখানে কিভাবে যেতে হবে অথাবা ওখানে টিকেট প্রাইস কত।
সোজা কথায় বলতে গেলে, আমরা গুগলের সার্চ ইঞ্জিন এ বা কোনো সোশ্যাল সাইটে যেয়ে কোনো কিছুর তথ্য পেতে সার্চ করার পর সার্চ রেজাল্টে আমরা যে পোস্ট বা আর্টিকেল গুলো দেখতে পাই সেগুলোই হচ্ছে ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট বা আর্টিকেল।
তথ্য বিষয়বস্তু নিয়ে ইনফোরমেটিভ কন্টেন্ট ?
তথ্যমূলক বিষয়বস্তুর উদ্দেশ্য হল আপনার শিল্পের লোকেরা যে প্রশ্নগুলি জিজ্ঞাসা করছে তার উত্তর দিতে এবং তারা যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তার সমাধান প্রদান করা।
তথ্যমূলক সামগ্রী আপনার শ্রোতাদের শিক্ষিত করে এবং আপনার দক্ষতা প্রদর্শন করে। দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হল লোকেরা আপনাকে আপনার ক্ষেত্রে একজন কর্তৃপক্ষ হিসাবে দেখবে। একবার আপনি একজন কর্তৃপক্ষ হয়ে গেলে, অনুসরণকারীরা আপনার প্রচারমূলক সামগ্রী পড়তে আরও ইচ্ছুক হয় এবং ইন্টারনেট অনুসন্ধানকারীরা আপনার বিষয়বস্তুকে বিশ্বাস করার প্রবণ হয় ৷
তথ্যমূলক বিষয়বস্তু লেখা
তথ্যমূলক বিষয়বস্তুর সাথে লক্ষ্য হল অবহিত করা। আপনার ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত একটি বিষয়ের একটি ওভারভিউ প্রদান করে, আপনি পাঠকদের আপনার ব্লগ বা সাইট খোঁজার কারণ দেন। তথ্যগত বিষয়বস্তু প্রাথমিকভাবে দুটি ভিন্ন আকারে আসে: চিরসবুজ এবং সময়-সীমিত।
ইনফরমেটিভ আর্টিকেল কিভাবে লিখতে হয় ?
ধরুন আপনি এখন কফি খেতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনার জানা নেই যে কফি কিভাবে বানাতে হয়। আপনার সাথে সাথে গুগলে যে সার্চ করলেন How To Make Coffee. এতে আপনি অনেকগুলো আর্টিকেল ই পাবেন।
যে আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগে আপনি সেটি ফলো করি আপনার খাবার টি আপনি বানিয়ে নেবেন। আর্টিকেল টি কতটা সহজ ভাবে লেখা হয়েছে অথবা আর্টিকেল টি কতটা সুন্দর সেটা উপর ভিত্তি করেই কিন্তু আপনি এত এত আর্টিকেলের ভিতরে একটি আর্টিকেল চুজ করবেন।
তাই একটি ইনফরমেটিভ আর্টিকেল যতটা সহজ করে লেখা যায় ততটাই একজন রাইটার এর জন্য ভালো। খুব বেশি কথা না বলে অল্প কথার মধ্যে অনেক কিছু বুঝিয়ে দেওয়া একজন প্রফেশনাল রাইটার এর কাজ। আপনি যদি আপনার এই প্রতিভা টি একটি ইনফরমেটিভ আর্টিকেল এ প্রবেশ করাতে পারেন তাহলে আপনার আর্টিকেলটি সফলতা পাবেই।
ইনফরমেটিভ আর্টিকেল লেখার আগে অনেক কিছুই ভাবতে হয়। আপনি যে বিষয়ের উপর ইনফর্মতিভ আর্টিকেল লিখতে যাচ্ছেন সেই বিষয়ে ভেবেচিন্তে এবং সম্পূর্ণ রিসার্চ করা উচিত আপনার৷ ধরুন আপনি কফি নিয়েই একটি ইনফরমেটিভ আর্টিকেল লিখলেন, যে কিভাবে একটি মজাদার কফি বানানো যায়।
আগে আপনি এটা নিশ্চিত করুন যে আপনি নিজে কতটুকু মজাদার কফি বানাতে পারেন, হাহা! তারপর যদি আপনি এই বিষয় নিয়ে লিখতে বসেন তাহলে আপনার লেখা একেবারেই সহজ হয়ে যাবেএবং আপনি বেশ স্পষ্টভাবে আপনার লেখায় কফি বানানোর ইনফরমেশন প্রকাশ করাতে পারবেন।
কিভাবে আপনি ব্লগ পোস্ট লিখবেন তার ৬টি সহজ উপায়
১) প্রথমেই টপিক সিলেক্ট করুন, আউটলাইন তৈরী করুন, অডিয়েন্স রিসার্চ এবং ফ্যাক্টস গুলো চেক করুন।
২) আকর্ষণীয় হেডলাইন দিন
৩) সাব-হেডিং ও সংক্ষিপ্ত প্যারাগ্রাফ রাখুন।
৪) বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করুন
৫) ইমেজ সংযুক্ত করুন
৬) এসইও অপ্টিমাইজ করুন
১) আকর্ষণীয় হেডলাইন দিন
আপনি রাইটিং শুরু করার পূর্বে আপনাকে জানতে হবে আপনার অডিয়েন্স কারা এবং তারা কেমন কনটেন্ট চাইছে। চেষ্টা করবেন আপনার কম্পিটিটর ও নিশ অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করুন। কঠিন মনে হচ্ছে !! আপনি তথ্য পেতে কিছু টুলস এর ব্যবহার করতে পারেন।
Quora: সবচাইতে ভালো একটা মাধ্যম আপনার কীওয়ার্ড অনুযায়ী প্রশ্ন ও অনেক ভালো টপিক আপনি পেয়ে যাবেন।
Ahrefs: যদিও এটি পেইড টুলস কিন্তু আপনি আপনার কম্পিটিটর এনালাইসিস করে অনেক ভালো ভালো কীওয়ার্ড এই টুলস এর মাধ্যমে পেতে পারেন।
আপনি যদি আপনার হেডলাইন গুলা আকর্ষণীয় করতে না পারেন তবে আপনার ব্লগ পোস্ট গুলা কেউ তেমন একটা ক্লিক করবে না বা শেয়ার করবে না। আমরা মানুষ হিসেবে বইয়ের কভার দেখে পুরা বইটাকে বিচার করি তেমনিভাবে আমরা ব্লগপোস্ট টাইটেল দেখে পোস্টটা বিচার করি। তাই নজরকারা টাইটেল ব্লগপোস্ট এর জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি চাইলে টুলস দিয়ে টাইটেল জেনারেট করতে পারেন। তার জন্য রেকমেন্ডেড টুলস হচ্ছে ; (১) https://www.portent.com/tools/title-maker (2) https://www.thehoth.com/headline-generator/
তাছাড়া আপনি হেডলাইন গুলা কতটা ক্লিক করার মতন হলো তার জন্য এই টুলসটা দিয়ে চেক করতে পারবেন; isitwp.com/headline-analyzer/
৩) সাব-হেডিং ও সংক্ষিপ্ত প্যারাগ্রাফ রাখুন
ব্লগ পোস্ট ফরম্যাটিং করাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্লগপোস্ট এর সব থেকে খারাপ দিক হচ্ছে একটি পোস্টে বিশাল প্যারাগ্রাফ থাকবে। বেশির ভাগ সময় ভিসিটররা কনটেন্ট স্ক্যান করে দেখবে তারপর তারা বিবেচনা করে দেখে কন্টেন্টটি পড়বে কিনা ? তাই এইটা সব সময় রেকমেন্ডেড যে আপনার প্যারাগ্রাফ ছোট ছোট পেরা করে সাব-হেডিং দিয়ে লিখবেন।
অন্য আরো একটি টিপস হচ্ছে আপনি প্যারাগ্রাফটি ছোট করে লিখবেন যাতে করে ইউসারদের পড়তে সুবিধা হয়। আপনি চেষ্টা করবেন প্রতিটা পেরা যাতে ২-৪ লাইনের মধ্যে থাকে। যাতে করে ভিসিটরদের পড়তে সুবিধা হয়।
সাধারণ বই ও ব্লগপোস্ট লিখার মধ্যে ব্যাপক তফাৎ আছে। বই গুলাতে বড় প্যারাগ্রাফ থাকলেও ব্লগপোস্ট এ আপনাকে ইনফোরমেটিভ, অর্গানাইজ ও ছোট ছোট পেরাতে কোয়ালিটি কনটেন্ট লিখতে হয়।
৪) বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করুন
বেশিরভাগ ভিসিটর যেহেতু আপনার ব্লগপোস্ট স্ক্যান করে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাই আপনাকে প্যারাগ্রাফের মধ্যে অবশ্যই হাই-লাইটেড ইনফো রাখতে হবে।
যাতে ভিসিটর দেখে মনে করে যে পোস্টটি পড়লে সে ভালো পরিমান তথ্য পাবে। তাই সাব-হেডিং এর মধ্যে আপনি যদি বুলেট পয়েন্ট করে আপনার বেস্ট ইনফরমেশন গুলা দিতে পারেন তবে স্ক্যান করার সময় ভিসিটর অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিবে যে তারা আপনার পোস্টটি পড়বে। নিচে বুলেট পয়েন্ট লিখার কিছু টিপস শেয়ার করলাম।
৫) ইমেজ সংযুক্ত করুন
আমাদের টেক্সট কনটেন্ট থেকে ব্রেন খুব তারাতাড়ি প্রসেস করে ভার্চুয়াল কনটেন্ট গুলাকে। তাই আপনি যদি রিলেভেন্ট ইমেজ ব্যবহার করেন তবে ভিসিটর এনগেজমেন্ট বেড়ে যাবে অনায়াসে।
তার জন্য আপনি ফ্রি হাই-কোয়ালিটি স্টকস ফটো ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সত্য বলতে ফ্রি থেকে আপনি যদি নিজের বানানো বা প্রিমিয়াম ইমেজ ব্যবহার করতে পারেন তবে বেশ ভালো কাজে দিবে।
৬) এসইও অপ্টিমাইজ করুন
ব্লগিং দুনিয়াতে এসইও একটা ট্রিকি পার্ট। আপনি চাইলেও ইউসার এক্সপেরিয়েন্সকে এসইওতে ফেলতে পারবেন না। আবার এসইওকে অবজ্ঞা করতে পারবেন না। তাই ২ তার কম্বিনেশন খুব জরুরি।
আপনি যদি আপনার গুগল রাঙ্কিং এ ভালো করতে চান তবে আপনার অবশ্যই ব্লগ পোস্ট এসইও’র দ্বারা অপ্টিমাইজ করতে হবে।
আরো পড়ুন: