টেসলা ফোন – যেমন হতে পারে ইলন মাস্কর কোম্পানির স্মার্টফোন | Tesla phones – such as Elon Musk’s smartphone

Deal Score0
Deal Score0

ইলন মাস্কের কোম্পানি টেসলা মডেল পাই (Pi) বা পি (P) নামে একটি স্মার্টফোন নিয়ে কাজ করছে বলে ইন্টারনেটে বেশ কিছুদিন ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এই ফোনের বাস্তব অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কেমন হতে পারে বিলিয়নিয়ার ও ইলেক্ট্রনিক কার নির্মাতা লিডার, ইলন মাস্ক এর তৈরি স্মার্টফোন? চলুন জেনে নেওয়া যাক টেসলা ফোন সম্পর্কে শোনা গুঞ্জনসমূহের ভিত্তিতে কেমন হতে পারে এই ফিউচারিস্টিক ফোন।

টেসলা ফোন ফিচারসমূহ, যা নিয়ে কথা বলছে সবাই

সাইবারট্রাক এর কথা মনে আছে? দূর্ভেদ্য এক্সোস্কেলেটন ও বায়োওয়েপন ডিফেন্স মোড এর মতো ওভার-দ্যা-টপ ফিচার ছিলো সাইবারট্রাকে। সে বিবেচনায় টেসলা ফোনের ফিচারসমূহ আহামরি মনে না ও হতে পারে। এখানে গুঞ্জন এর ভিত্তিতে টেসলা ফোনের ফিচারসমূহ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

স্যাটেলাইট ইন্টারনেট

স্পেসএক্স এর স্পেস-ভিত্তিক ইন্টারনেট সার্ভিস, স্টারলিংক ব্যবহৃত হবে টেসলা ফোনে। এমনকি মঙ্গল গ্রহে ঘাঁটি স্থাপনের ক্ষেত্রে টেসলা ফোন ব্যবহারের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে এই ব্যাপারটি বাস্তব করতে হলে বাল্কি এন্টেনা স্যাটেলাইট ফোনের মত ছোট ডিভাইসে ফিট করার উপায় খুঁজতে হবে।

ধারণা করা হচ্ছে শুধুমাত্র স্টারলিংক বেস আছে এমন স্থানেই কাজ করবে এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবস্থা। অর্থাৎ স্টারলিংক বেস আছে এমন বিল্ডিং বা টেসলা কার এর মধ্যে কাজ করবে টেসলা ফোন এর স্যাটেলাইট ইন্টারনেট।

সোলার চার্জিং

যানবাহনের পাশাপাশি সোলার প্যানেলও তৈরী করে টেসলা, তাই সোলার চার্জিং এর দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে টেসলা ফোনে। ফোনটি শুধুমাত্র সোলার এনার্জি দ্বারা চার্জ হবে এমন কিন্তু না। বরং একটি স্পেশাল ফোন কেস কেস থাকবে যা ব্যবহার করে সোলার চার্জিং ফিচার ব্যবহার করা যাবে।

ভেহিকল কন্ট্রোল

ইতিমধ্যে টেসলা অ্যাপ ব্যবহার করে বেসিক কার ফাংশনসমূহ কন্ট্রোল, যেমনঃ কার লক/আনলক করা, মিডিয়া প্লেবেক কন্ট্রোল করা বা গাড়ি ডেকে নেওয়া, ইত্যাদি করা যাবে। এই অ্যাপটি টেসলা ফোনে অবশ্যই প্রি-ইন্সটল করা থাকবে সেটি বলাই যায়।

টেসলা ফোনে টেসলা অ্যাপ বিল্ট-ইন না থাকলেও লক স্ক্রিন বা এক্সটার্নাল বাটনের মাধ্যমে সরাসরি ইজি অ্যাকসেস এর জন্য অপারেটিং সিস্টেম ফিচার থাকবে (যদি ফোনটি সত্যিই বানানো হয়)। এছাড়াও টেসলা ফোন ব্যবহারকারীগণ টেসলা অ্যাপে এক্সক্লুসিভ ফিচার পেতে পারেন।

অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফি

বর্তমানের স্মার্টফোনে ইতিমধ্যে এআই (AI) ও শক্তিশালী ক্যামেরা রয়েছে যা রাতের আকাশকে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে। স্পেস এক্স এর এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল ফোকাস কে মাথায় রাখলে টেসলা ফোনে এই প্রযুক্তির ব্যাপার অভূতপূর্ব উন্নতি অর্জন করতে পারে। অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অবজেক্ট এর ছবি তোলার মত ফিচার থাকবে টেসলা ফোনে।

ক্রিপটো মাইনিং

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যে টেসলা ফোন ব্যবহার করে ক্রিপটোকারেন্সি মাইনিং করা যাবে। ক্রিপটোকারেন্সি সম্পর্কে ইলন মাস্ক সবসময় কথা বলে থাকেন। তার নিজস্ব ফোনে এই ফিচার থাকাটা অবাক করার মত কিছু নয়। শোনা যাচ্ছে যে Marscoin নামে এক ধরনের নতুন ক্রিপটোকারেন্সি মাইন করবে টেসলা ফোন।

নিউরালিংক সাপোর্ট

একটি কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারের সাথে ব্রেনের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগাযোগের বিষয়টি এখনও কল্পবিজ্ঞান মনে হলেও নিউরালিংক ইতিমধ্যে এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। নিউরালিংক প্রথম নিউরাল ইমপ্ল্যান্ট নিয়ে কাজ করছে যা ব্যবহার করে ব্রেনের মাধ্যমে শুধুমাত্র চিন্তা করেই যেকোনো কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। হতে পারে ইলন মাস্ক নির্মিত এই ফোনে তারই প্রতিষ্ঠান নিউরালিংক এর প্রযুক্তি বিল্ট-ইন থাকবে।

ধারণা করা হচ্ছে প্রথমে অ্যান্ড্রয়েড এর টেসলা-ব্র‍্যান্ডেড ভার্সনে চলবে টেসলা ফোন। গুজব যদি সত্য হয়ে থাকে তবে ইমপ্ল্যান্টেবল ব্রেইন-মেশিন ইন্টারফেস এর দেখা মিলতে চলেছে খুব শীঘ্রই। যদিওবা মানুষকে সাহায্যের উদ্দেশ্যে ইলন মাস্কের এই প্ল্যানে ২০২২সাল নাগাদ কাজ শুরু হবে। আপাতত এই প্রযুক্তি সকলের কাছে উপলভ্য হবেনা। প্যারালাইসিস সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের উপর প্রথমে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

টেসলা ফোন স্পেসিফিকেশন

কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এখনো তথ্য না পাওয়ায় টেসলা ফোনে কি ধরনের হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা হবে তা জানা যায়নি। তবে সাধারণ সব কম্পোনেন্ট, যেমনঃ ১ থেকে ২টেরাবাইট স্টোরেজ, ১৬জিবি বা অধিক র‍্যাম, অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ৬.৫ইঞ্চি, ইত্যাদি থাকতে পারে।

টেসলা মডেল পাই – ডিজাইন কনসেপ্ট

বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত গুজব অনুসারে ADR Studio তৈরী করেছে Model Pi (π) এর ডিজাইন কনসেপ্ট। এই পোস্টে উক্ত কনসেপ্ট ডিজাইনের ছবি দেওয়া রয়েছে।

টেসলা ফোনের দাম কত হতে পারে?

সকল এডভান্সড প্রযুক্তিসহ ফোনের দাম কমপক্ষে হাজার ডলার তো হবেই। ধীরে ধীরে পরিচিতি লাভ করলে দাম কমতে পারে টেসলা ফোনের। তবে এই ফোনের প্রথম দিকের দাম অধিকাংশ মানুষের জন্য মানানসই হবেনা।

ইতিমধ্যে যেসব গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, সে হিসেবে ধারণা করলে ৮০০ থেকে ১,২০০ মার্কিন ডলার হতে পারে টেসলা ফোনের দাম। আর ইলন মাস্ক এর স্টাইল অনুযায়ী এই ফোন মুক্তির বহু আগেই প্রি-অর্ডার করা যাবে, সেটি হলফ করে বলা যায়। তবে এখনো টেসলা ফোনের দাম সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।

টেসলা ফোন কখন মুক্তি পাবে?

বাচ্চাদের জন্য সাইবারট্রাক ইন্সপায়ারড অল-ইলেক্ট্রিক ভেহিকল, লোগোসহ ছাতা, ও স্টেইনলেস-স্টিল হুইসেল এর মতো বিভিন্ন মজার প্রোডাক্ট বাজারে ছাড়ার রেকর্ড রয়েছে টেসলার ঝুড়িতে। তাই হুট করেই টেসলা যদি একটি স্মার্টফোন বাজারে আনে, তাতে অবাক হওয়ার মত কিছু নেই।

যদিওবা টেসলা ফোনের মুক্তির তারিখ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি, তবে অনেকেই এই বছর, অর্থাৎ ২০২২সালেই টেসলা ফোন মুক্তি পাওয়ার আশা করছেন। এই সম্ভাবনা অসম্ভব মনে হলেও টেসলা যে ভবিষ্যতে স্মার্টফোন বাজারে আনবে, এটি নিয়ে অনেকেই আশাবাদী। উল্লিখিত সকল গুজব সত্যি হিসেবে ধরে নিলে ২০৩০সালের মধ্যে টেসলা ফোন বাণিজ্যিকভাবে দেখা দিতে পারে।

cobangla
We will be happy to hear your thoughts

Leave a reply

Tech Topic Cobangla
Logo
Register New Account