“কমদামে সেরা আইফোন নিয়ে আজকের আর্টিকেল “এখানে দেখুন
কমদামে সেরা আইফোন : বর্তমান সময়ে আইফোন ব্যবহার করতে কে না চায়! আইফোন স্মার্টফোনের দুনিয়ায় একটি প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এক একটি আইফোন কেনার জন্য ব্যবহারকারীকে ভাল অংকের টাকা গুনতে হয়। তবুও ভক্তরা আইফোন কেনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে। এ থেকেই বোঝা যায় আইফোন কতটা জনপ্রিয়।
আইফোনের ক্ষেত্রে একটি ব্যাপার অনেক লক্ষনীয় যে অ্যাপল যখন তাদের নতুন সিরিজের ফোনগুলো বাজারে ছাড়ে তখন এর পুরাতন সিরিজের ফোনগুলোর মূল্য কমে যায়। আপনি যদি আপনার বাজেটের মধ্যে আইফোন ক্রয় করতে চান তাহলে আপনাকে একটু কৌশলি হয়ে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে এক্ষেত্রেও আপনাকে মিড রেঞ্জের বাজেট নিয়ে আগাতে হবে। চলুন বর্তমান বাজারে মিড রেঞ্জের মধ্যে সেরা আইফোন কোনটি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক কমদামে সেরা আইফোন।
আইফোন SE (2022) কমদামে সেরা আইফোন
অ্যাপলের এসই মডেলের ফোনটি অনেক ক্ষেত্রেই বলা যায় একটি ব্যাকডেটেড ফোন। ফোনটিতে এখনো হোম বাটন, ফেস আইডি এর পরিবর্তে টাচ আইডি এমনকি ফোনের উপরে ও নিচে বড় বেজেল রয়েছে।
ডিভাইসটির ক্যামেরা, চার্জিং এবং ডিসপ্লে টেকনোলজি বর্তমান সময়ের আইফোন ১৪ এর মতো এতো ভালো ও না। তার উপরে আবার এসই মডেলের বেজ ভ্যারিয়েন্টের মেমোরি ৬৪ জিবি যেখানে বর্তমানে বেশিরভাগ ফোনেই ১২৮ জিবি এর মেমোরি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এতো সব সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মাত্র ৪২৯ ডলারের মধ্যে লেটেস্ট এসই আইফোনে আপনি ফাইভ জি সেলুলার, আইফোন ১৪ এর মতো কমদামে সেরা আইফোন একই এ১৫ বায়োনিক প্রসেসর এবং আইপি৬৭ ওয়াটার রেজিস্টেন্স এর মতো সুবিধা পাচ্ছেন। ফোনগুলোতে আইফোনের প্রায় সকল অ্যাপ আপডেটের সাথে ব্যবহার করা সম্ভব। তাছাড়া অনেকে ৪.৭ ইঞ্চির উক্ত ফোনকে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ৬ ইঞ্চি বা তার থেকে বড় সাইজের ফোন থেকে বেশি পছন্দ করেন।
আইফোন এসই এর লো লাইট ফটোগ্রাফি তেমন একটা ভালো না হলেও এই বাজেটের মধ্যে বাকি সকল ফিচার এই ফোনটি কিনতে আপনাকে আকৃষ্ট করতে পারে। আপনি যদি এসকল বিষয় নিয়ে চিন্তা না করে থাকেন তাহলে এই বাজেটের মধ্যে আইফোনের এই ফোনটি আপনার জন্য পারফেক্ট হবে। যদিও আবার বলছি, এর ডিজাইন বেশ পুরনো।
আইফোন ১৩
কমদামে সেরা আইফোন : অনেকে আইফোন ১৩ এর কথা শুনে অবাক হতে পারেন। কিন্তু সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো আইফোন ১৩ আইফোন ১৪ ডিভাইসটির কার্বন কপি বলা যায় অল্প কিছু আপগ্রেড ছাড়া।
সেগুলো হলো ক্রাশ ডিটেকশন, ফটোনিক ইঞ্জিন, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইমারজেন্সি SOS এবং একটা জিপিউ কোর। সাধারণ ব্যবহারকারীরা এসকল পরিবর্তন কখনো খেয়াল করবে না তাই এই ফোন ক্রয়ের মাধ্যমে ১০০ ডলার সাশ্রয় অবশ্যই গ্রহণযোগ্য।
এই লিস্টে এই ফোনটি দ্বিতীয় হবার একমাত্র কারণ এর ৬৯৯ ডলারের প্রাইসট্যাগ। যদিও এটা অ্যাপল স্ট্যান্ডার্ডে কমদামী হিসেবে বিবেচিত হয় কিন্তু বাস্তবিক অর্থে এটি প্রিমিয়াম বাজেটের একটি ফোন। এই ফোনকে আইফোন SE (2022) এর অনেকাংশে বড় ভার্শন বলা যায়।
এই ফোনে ৬.১ ইঞ্চির একটি বড় এবং আরো উজ্জ্বল ডিসপ্লে পাওয়া যাবে। সাথে ফেস আইডি, লো লাইটে ভালো কোয়ালিটির ছবি, ম্যাগসেফ ওয়্যারলেস চার্জিং এবং একটি সেকেন্ডারি আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স পাওয়া যাবে এই ফোনে। স্টোরেজ অপশনের ক্ষেত্রে এই ফোনটি ১২৮ জিবি থেকে ৫১২ জিবি পর্যন্ত পাওয়া যাবে।
আইফোন ১২
কমদামে সেরা আইফোন আপনি চাইলে আইফোন ১২ বা তার নিচের ভার্শনগুলো একবার দেখে নিতে পারেন। অ্যাপল এখনো তাদের আইফোন ১২ মডেলের ফোনগুলো অফিশিয়ালি বিক্রি করছে। আইফোনের এই মডেলটি আইফোন SE (2022) মডেল থেকে ভালো হলেও এর জন্য আপনাকে অতিরিক্ত ১৭০ ডলার খরচ করতে হবে। কারন এই ফোনের বাজার মূল্য ৫৯৯ ডলার। এক্ষেত্রে আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এটি ভ্যালু ফর মানি হচ্ছে কি না।
তবে আইফোনের ক্ষেত্রে এর থেকে পুরানো মডেলের ফোন না কেনাই উত্তম। কারন এসকল ফোনে অ্যাপলের ভবিষ্যত আইওএস আপডেটগুলো নাও আসতে পারে।
অনেকেরই স্বপ্ন থাকে আইফোন চালানো। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলে আপনিও আপনার পছন্দ এবং বাজেট অনু্যায়ী আইফোন ব্যবহার করতে পারবেন। আইফোন সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে কমেন্টের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন।
আইফোন ৫
১০বছর আগে মুক্তি পাওয়া আইফোন ৫ বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে পানির দামে। দামে কম হলেও এই ফোন বর্তমানে প্রায় ব্যবহারের অযোগ্য বলা চলে। কমদামে সেরা আইফোন বেশ ছোট স্ক্রিন ও স্বল্প ব্যাটারির কারণে ফোনটি কেনার যুক্তিযুক্ত তেমন কোনো কারণ নেই। আইফোন ৫ এর স্পেসিফিকেশন নিচে দেওয়া হল।
- ডিসপ্লেঃ ৪ইঞ্চি
- প্রসেসরঃ অ্যাপল এ৬
- র্যামঃ ১জিবি
- স্টোরেজঃ ১৬জিবি
- মেইন ক্যামেরাঃ ৮মেগাপিক্সেল
- সেলফি ক্যামেরাঃ ১.২মেগাপিক্সেল
- ব্যাটারিঃ ১৪৪০মিলিএম্প
- আইফোন ৫ এর দাম ৫,০০০টাকা
আইফোন ৬এস প্লাস
আইফোন ৬ সিরিজের সবচেয়ে বড় ব্যাটারি রয়েছে আইফোন ৬এস প্লাস ফোনটিতে। আইফোন ৬ এসপ্লাস ফোনটিতে বড় ব্যাটারির পাশাপাশি রয়েছে ৫.৫ইঞ্চির স্ক্রিন যা আইফোন হিসেবে বেশ বড় বলা চলে। আইফোন ৬এস এর মত একই ক্যামেরা থাকছে আইফোন ৬এস প্লাস ফোনটিতেও।
আইফোন ৬এস প্লাস এর স্পেসিফিকেশন
- ডিসপ্লেঃ ৫.৫ইঞ্চি
- প্রসেসরঃ অ্যাপল এ৯
- র্যামঃ ২জিবি
- স্টোরেজঃ ১৬জিবি / ৩২জিবি / ৬৪জিবি / ১২৮জিবি
- মেইন ক্যামেরাঃ ১২মেগাপিক্সেল
- সেলফি ক্যামেরাঃ ৫মেগাপিক্সেল
- ব্যাটারিঃ ২৭৫০মিলিএম্প
- আইফোন ৬এস প্লাস এর দাম ১৫,০০০টাকা
আইফোন ৭ প্লাস
আইফোন ৭ এর ব্যাটারি ব্যাকাপের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ক্যামেরা সেকশনে বাড়তি চমক রয়েছে আইফোন ৭ প্লাস ফোনটিতে। বড়সড় ৫.৫ইঞ্চি ডিসপ্লের পাশাপাশি এই ফোনে দুইটি ১২মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা রয়েছে যা সাহায্যে ফোনটিতে অসাধারণ পোর্ট্রেইট ছবি তোলা যায়।
আইফোন ৭ প্লাস এর স্পেসিফিকেশন
- ডিসপ্লেঃ ৫.৫ইঞ্চি
- প্রসেসরঃ অ্যাপল এ১০ ফিউশান
- র্যামঃ ৩জিবি
- স্টোরেজঃ ৩২জিবি / ৬৪জিবি / ১২৮জিবি / ২৫৬জিবি
- মেইন ক্যামেরাঃ ১২মেগাপিক্সেল ডুয়াল ক্যামেরা
- সেলফি ক্যামেরাঃ ৭মেগাপিক্সেল
- ব্যাটারিঃ ২৯০০মিলিএম্প
- আইফোন ৭ প্লাস এর দাম ২৫,০০০টাকা
আইফোন ৮
আইফোন ৭ ও আইফোন ৮ এর মধ্যে মূল পার্থক্য এদের প্রসেসরের মধ্যে। আইফোন ৮ ফোনটিতে অ্যপল এ১১ বায়োনিক চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে। কমদামে সেরা আইফোন সাইজে ছোট ব্যাটারি ব্যবহার করা হলেও এনার্জি এফিসিয়েন্ট প্রসেসরের কল্যাণে আইফোন ৭ ও আইফোন ৮ থেকে প্রায় একই ধরনের ব্যাটারি ব্যাকাপ পাওয়া যায়। আইফোন ৮ থেকে শুরু করে পরবর্তী ভার্সনগুলোতে ওয়্যারলেস চার্জিং ফিচার যুক্ত হয়েছে কমদামে সেরা আইফোন।
আইফোন ৮ এর স্পেসিফিকেশন
- ডিসপ্লেঃ ৪.৭ইঞ্চি
- প্রসেসরঃ অ্যাপল এ১১ বায়োনিক
- র্যামঃ ২জিবি
- স্টোরেজঃ ৬৪জিবি / ১২৮জিবি / ২৫৬জিবি
- মেইন ক্যামেরাঃ ১২মেগাপিক্সেল
- সেলফি ক্যামেরাঃ ৭মেগাপিক্সেল
- ব্যাটারিঃ ১৮২১মিলিএম্প
- আইফোন ৮ এর দাম ২০,০০০টাকা